Punjab Assembly Election 2022: ফের বিপাকে মুখ্যমন্ত্রী চন্নি, এবার দায়ের হল নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Feb 20, 2022 | 1:35 PM

Punjab Assembly Election 2022: নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রচার চালানোয় তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Punjab Assembly Election 2022: ফের বিপাকে মুখ্যমন্ত্রী চন্নি, এবার দায়ের হল নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ
দুজনের নামেই দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। ছবি:PTI

Follow Us

চণ্ডীগঢ়: নির্বাচনী বিধি (Code of Conduct) ভেঙে এবার বিপাকে কংগ্রেস (নেতারা। আজ, রবিবার পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। তারই আগে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি(Charanjit Singh Channi)-র নামে দায়ের হল অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রচার চালানোয় তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও পঞ্জাবী গায়ক তথা কংগ্রেসের প্রার্থী শুভদীপ সিং, যিনি সিধু মুসওয়ালা (Sidhu Moosewala) নামেও পরিচিত, তাঁর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচনাী বিধিভঙ্গের কারণে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৩ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি ও সিধু মুসওয়ালার নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন আম আদমি পার্টির মানসা কেন্দ্রের প্রার্থী ডঃ বিজয় সিংগলা। দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, আপ প্রার্খী নির্বাচন পর্যবেক্ষক সিকে যাদবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় পার হয়ে গেলেও কংগ্রেস প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। চরণজিৎ সিং চন্নি, যিনি চমকৈর সাহিব ও ভাদৌর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন, তিনি কেন আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও প্রচার চালিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উনি মানসা কেন্দ্রের ভোটার নন, তবুও কেন প্রচার চালিয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

অন্যদিকে, মানসা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সিধু মুসওয়ালাও নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর প্রচার চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বাডি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল সর্বাধিক ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালানো যাবে। সেখানেই সিধু মুসওয়ালা প্রায় ৪০০-৫০০ জনকে নিয়ে প্রচার চালিয়েছেন।

নির্বাচনের আগেই একের পর এক বিতর্ক শুরু হয়েছে পঞ্জাবে। একদিকে, ‘উত্তর প্রদেশ-বিহার দে ভাইয়া’ মন্তব্যের জেরে বিরোধী দলগুলির কড়া সমালোচনার শিকার হয়েছেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী চরণজিৎ সিং চন্নি। বিহারের পটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক বিজেপি নেতা। সমালোচনা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও।

অন্যদিকে, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালও বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তার প্রাক্তন সতীর্থ কুমার বিশ্বাস সম্প্রতিই বলেছিলেন যে কেজরীবাল ক্ষমতালোভী। তিনি এক সময় বলেছিলেন যে যেভাবেই হোক তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বা স্বাধীন দেশ (খলিস্তান)-র প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন।

কুমার বিশ্বাসের এই মন্তব্য ঘিরেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে, কংগ্রেস, বিজেপির তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই ঘটনায় দৃষ্টিপাত করার অনুরোধ করেছেন। জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।

আরও পড়ুন: Punjab Assembly Election 2022: ভোটের আগেই গুরুদ্বারে মুখ্যমন্ত্রী, বললেন ‘যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি’

Next Article