চণ্ডীগঢ়: দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসে ছিলেন, দলের স্থির করা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে নির্বাচনেও জয়ী হয়েছেন। কিন্তু অভিনেতা সোনু সুদের বোন কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিতেই পঞ্জাবের মোগা (Moga) কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানো হয়েছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন কংগ্রেসের বিধায়ক হরজোত কমল (Harjot Kamal)। বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর আসন সোনু সুদের বোন মালবিকা সুদকে দিয়ে দেওয়ায়, রাগে তিনি বিজেপি(BJP)-তে যোগ দিলেন।
শনিবারই চণ্ডীগঢ়ে বিজেপির কার্যালয়ে হাজির হন বিধায়ক হরজোত কমল। সেখানে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে হাত মেলাতে ও কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। পরে জানা যায়, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দল ছাড়ার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “আময় নির্বাচনে টিকিট দিতে অস্বীকার করা হয়েছিল, যা আমার কাছে যথেষ্ট অসম্মানজনক। দলের তরফে আমায় মোগার বদলে অন্য কোনও আসন থেকে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এইরকম অপমানের পর আমি আর থাকতে চাইনি।”
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ” সিধু সাহাব (নভজ্যোৎ সিং সিধু) যখন মোগায় এসেছিলেন, তখনও উনি আমার বাড়িতে আসেননি। বরং সোজা সুদদের (মালবিকা সুদ) বাড়িতে চলে যান। সোনু সুদের বোন মালবিকা সুদকে বেছে নেওয়া ঘিরে আমার কোনও অভিযোগ নেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সোনু সুদ নিজেও নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন। সমস্য়া হল কংগ্রেস আমায় মোগা থেকে প্রার্থী করেনি। মালবিকা সুদ আমার বোনের মতো কিন্তু ওনার কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। সোনু সুদের বোন, এটাই ওনার পরিচয়।”
উল্লেখ্য, গত সোমবারই পঞ্জাবের মোগায় কংগ্রেসে যোগ দেন মালবিকা সুদ।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পুরনো দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেও ছাড়েননি কমল। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের সঙ্গে ২১ বছর ছিলাম। যুব কংগ্রেস কর্মী হিসাবে যাত্রা শুরু করেছিলাম। মোগায় কংগ্রেসের স্থান ছিল না আগে, আমি পরিশ্রম করে শিরোমণি আকালি দলের ঢেউকে টপকিয়ে কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম।”
গত সপ্তাহেই মালবিকা সুদ যখন কংগ্রেসে যোগ দেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে মালবিকাকে প্রার্থীও করা হবে কিনা। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী চন্নি দলের ঘাড়েই দায়িত্ব ঠেলে বলেছিলেন, “এখনও কি কিছু বলার বাকি রয়েছে?”
এদিকে, মালবিকাকে প্রার্থী করতে হরজোত কমলের কী হবে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নভজ্য়োত সিং সিধু বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কমলের ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই শুরু হয়েছে দলবদলের খেলা।