চণ্ডীগঢ়: কৃষি আইন(Farm Laws)-কে কেন্দ্র করেই ভেঙেছিল জোট। তবে আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরও জোটে ফিরতে নারাজ পঞ্জাবের শিরোমণি আকালি দল (Shiromani Akali Dal)। মঙ্গলবারই শিরোমণি আকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল (Sukhbir Singh Badal) জানান, বহুজন সমাজ পার্টি(BSP)-র সঙ্গে তাদের জোট যথেষ্ট মজবুত। বিজেপি(BJP)-র সঙ্গে হাত মেলানোর কোনও প্রশ্নই নেই।
হাতে গোনা আর কয়েক মাসই বাকি পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের (Punjab Assembly Election 2022)। ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই। চাব্বেওয়ালে প্রচারে গিয়ে সুখবীর সিং বাদল বলেন, “বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গে আমাদের জোট যথেষ্ট শক্তিশালী। বিজেপির সঙ্গে আর জোট বাঁধব না আমরা।”
দীর্ঘ সময় ধরে পঞ্জাবে বিজেপি ও আকালি দল জোটে ছিল। কিন্তু গত বছর কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে কৃষক আন্দোলন শুরু হতেই জোটে ফাটল ধরতে শুরু করে। দিল্লির দরবারে কৃষক আন্দোলন পৌঁছনোর কয়েক মাস পরেই জোট ভেঙে বেরিয়ে যায় শিরোমণি আকালি দল। বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই মায়াবতীর দলের সঙ্গে হাত মেলায় আকালি দল।
ওই সাংবাদিক বৈঠকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল(Arvind Kejriwal)-র নির্বাচন প্রতিশ্রুতি নিয়েও সুখবীর সিং বাদলকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, “কেজরীবালের আগে দিল্লিতে এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করুক। ওনার উচিত আগে দিল্লির চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের স্থায়ী পদ দেওয়া, তারপর পঞ্জাবে শিক্ষকদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিক। ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্যের মানুষদের বোকা বানানো যাবে না।”
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকেও আক্রমণ করে বলেন যে, “গত নির্বাচনে অমরিন্দর সিং রাজ্য়বাসীকে যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করেননি। বর্তমানে নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিও বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কেজরীবাল, চন্নি-দুজনই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।”
কেজরীবালকে আরও আক্রমণ করে তিনি বলেন, “কেজরীবাল পঞ্জাবে যে প্রতিশ্রুতিগুলি করছেন, তা আগে নিজের রাজ্য়ে পূরণ করুক। নাহলে পঞ্জাবীরা কখনওই ওনাকে বিশ্বাস করবেন না। উনি দিল্লিতে মহিলাদের কেন আর্থিক সহায়তা দেননি? বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বা কর্মসংস্থান কেন করেননি?”
আগামী বছরই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। আপাতত গদির লড়াইয়ে লড়েছে কংগ্রেস, বিজেপি, শিরোমণি আকালি দল-বহুজন সমাজ পার্টি। তবে নতুন দল তৈরি করেছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও। নির্বাচন কমিশনের সবুজ সংকেত পেলেই তিনিও প্রচারে নামবেন। ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পাটিয়ালা আসন থেকেই তিনি প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াবেন। অমরিন্দর সিংয়ের দল পঞ্জাব লোক কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলে বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগিরও সম্ভাবনা রয়েছে।