Shiromani Akali Dal: পুরানো ‘বন্ধু’র সঙ্গে কমেনি দূরত্ব, বিজেপিকে ছাড়াই ভোটে লড়বে অকালি দল

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 19, 2021 | 7:34 PM

Punjab: পুরানো জোট সঙ্গীর সঙ্গে আবার নতুন করে রাজনৈতিক বোঝাপড়ার দিকে এগোনোর কোনও পরিকল্পনা নেই শিরোমণি অকালি দলের।

Shiromani Akali Dal: পুরানো বন্ধুর সঙ্গে কমেনি দূরত্ব, বিজেপিকে ছাড়াই ভোটে লড়বে অকালি দল
শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবির সিং বাদল (ফাইল ছবি)

Follow Us

চণ্ডীগঢ়: এককালে বিজেপির জোটসঙ্গী ছিল তারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাদের প্রতিনিধিত্বও ছিল। কিন্তু বাড়তে থাকা কৃষক বিক্ষোভের জেরে, পঞ্জাবে নিজেদের শক্তি ধরে রাখতে বিজেপির সঙ্গ সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল শিরোমণি অকালি দল। এখন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরেও সেই দূরত্ব একইরকম থাকছে। বরং আসন্ন নির্বাচনে একলা চলো নীতিতেই এগোচ্ছে শিরোমণি অকালি দল। আজ এমনটাই জানিয়েছেন অকালি দলের প্রধান সুখবির সিং বাদল।

শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক বহু বছরের। বিজেপির জন্ম হওয়ার অনেক আগেই, জন সংঘ থাকাকালীন গেরুয়া শিবিরের জোটসঙ্গী ছিল শিরোমণি অকালি দল। কিন্তু এখন আর পিছনে ঘুরে দেখতে চাইছেন না সুখবির সিং বাদল। গতবছর কৃষক অসন্তোষের জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে নিজেদের একমাত্র সদস্য হরসিমরত কউর বাদলকে সরিয়ে এনেছিল অকালি দল। সেই কথাই আজ আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে সুখবির বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আগেই এই আইন নিয়ে সতর্ক করেছিলাম।”

কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্তের কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জানিয়েচেন, তা মোদী জমানায় সবচেয়ে বড় নীতি পরিবর্তনের মধ্যে একটি বলে মনে করছেন অকালি দলের প্রধান। সুখবির সিং বাদল আজ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “অন্তত ৭০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন (কৃষকদের বিক্ষোভে)… দেশ তাদের মৃত্যু দেখেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম… যে সরকারের প্রণয়ন করা আইনে কৃষকরা রাজি হবে না।”

তাঁর আরও বক্তব্য, “আমরা যে আশঙ্কার কথা বলেছিলাম, সেটাই সত্যি হয়েছে।” তবে একই সঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে  পুরানো জোট সঙ্গীর সঙ্গে আবার নতুন করে রাজনৈতিক বোঝাপড়ার দিকে এগোনোর কোনও পরিকল্পনা নেই শিরোমণি অকালি দলের।

কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এক সাহসী পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আসন্ন সংসদ অধিবেশনেই এই তিন আইন বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই সাহসী সিদ্ধান্তের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সদস্যরা। স্বাগত জানিয়েছেন এম কে স্টালিনের মতো অনেক বিজেপি বিরোধী নেতাও।

আজ সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অন্নদাতা যারা, তারাই আর্থিক কষ্টে ভোগেন। এই দুর্দশা দূর করতেই বাকি প্রকল্পগুলির মতোই কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে এবং সরাসরি ক্রেতার কাছে ফসল বিক্রির সুবিধা দিতেই এই কৃষি আইন আনা হয়েছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশের কৃষক, বিশেষত ছোট কৃষকরা যাতে নায্য দামে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই এই আইন আনা হয়েছিল।

কৃষিক্ষেত্রে সংশোধনের দাবি বহু বছর ধরেই উঠে আসছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর আগেও বহু সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করেছিল। এ বারও সংসদে আলোচনার মাধ্য়মেই এই আইনগুলি আনা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা ও সংগঠনগুলি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাদের সকলকে ধন্যবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিন কৃষি আইন আনার সিদ্ধান্ত দেশের অধিকাংশ কৃষকই স্বাগত জানালেও এক অংশের কৃষকরা এর বিরোধিতা করেছে। এই এক অংশের বিরোধিতাকেও সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখেছিল। সেই কারণেই আন্দোলনকারীদের নতুন কৃষি আইন সম্পর্কে বোঝাতে একাধিক প্রচেষ্টা করা হয়েছিল, এমনটাই জানান প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন বা বারংবার আলোচনাতেও সমাধানসূত্র না মেলার জন্য কৃষকদের দোষারোপ করেননি প্রধানমন্ত্রী। বরং তাদের কৃষি আইনের সুফল বোঝাতে না পারায় নিজেই ক্ষমা চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হয়তো আমাদের প্রচেষ্টাতেই কোনও খামতি রয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আমরা কৃষকদের বোঝাতে পারিনি। আমি গোটা দেশকে জানাচ্ছি যে আমরা তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চলতি মাসের শেষেই যে সংসদ অধিবেশন শুরু হচ্ছে, তাতে কৃষি আইন প্রত্যাহার করার যাবতীয় কাজ শেষ হবে।”

আরও পড়ুন : Amarinder Singh questions Farmer Protest: এখনও কীসের বিক্ষোভ? কৃষক নেতাদের প্রশ্ন অমরিন্দরের

Next Article