PM security breach: পঞ্জাবে বিঘ্নিত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের
Security Breach: একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরির পথে হাঁটতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: কৃষি আইন বাতিলের পর, গত বুধবারই প্রথমবার পঞ্জাবে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই বিক্ষোভের সময়ই একটি ব্রিজে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট আটকে থাকে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। এই ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাকে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির একটি ব্রিজে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় যেকোনও বড় মাপের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিল সংশ্লিষ্ট মহল। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কংগ্রেস শাসতি পঞ্জাব সরকার ও পঞ্জাব পুলিশকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছিল। পঞ্জাবের এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তোলপাড়ের মাঝেই জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট অবধি। এবার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিভ্রাটের প্রশ্নে পদক্ষেপ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
কী পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট?
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো গুরুতর ঘটনায় বিশেষ তদন্ত কমিটি তৈরি করতে চলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরির পথে হাঁটতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তৈরি করা এই কমিটিই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা বিভ্রাটের ঘটনার তদন্ত করবে বলেই জানা গিয়েছে। এই পদক্ষেপের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও পঞ্জাব সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট যাবতীয় তদন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, দ্রুত তদন্ত কমিটি তৈরির প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
সেদিন পঞ্জাবে ঠিক কী ঘটেছিল?
বুধবার সকালেই পঞ্জাবের ভাতিন্দাতে অবতরণ করেছিল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। হুসেনিওয়ালাতে জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেনা হেলিকপ্টারে সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা না থাকায় সড়ক পথেই হুসেনিওয়ালার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কনভয় যখন একটি ব্রিজের উপর পৌঁছয়, তখন দেখা যায় বেশ কিছু আন্দোলনরত কৃষকদের অবরোধের কারণে ব্রিজ অবরুদ্ধ। বাধা পেয়ে ব্রিজেই দাঁড়িয়ে থাকে নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। পরে নিজের কর্মসূচি বাতিল করে আবার ভাতিন্দা বিমানবন্দরে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঘটনার পর বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করা উদ্দেশ্য নিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও বিবৃতি জারি করে জানিয়েছিল ও ব্রিজে বিক্ষোভ সরিয়ে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না। পঞ্জাব সরকারকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি সম্পর্কে আগেভাগে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হলেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুন: Caste Census: জাতি সুমারির ইস্যুতে নীতীশের পাশে বিহার কংগ্রেস, পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস
আরও পড়ুন: New guidelines Covid patients: করোনা রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছুটির নির্দেশে বদল কেন্দ্রীয় সরকারের