চণ্ডীগঢ়: ভোটমুখী পঞ্জাবে (Punjab Assembly Election 2022) তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির বাতাবরণ। চলছে আক্রমণ – পাল্টা আক্রমণের পাল্টা। অনেক নেতারাও ঝোপ বুঝে কোপ মারার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সুযোগ বুঝে জার্সি বদলাচ্ছেন। তেমনই একজন বলবিন্দর সিং লড্ডি (Balwinder Singh Laddi)। এক সপ্তাহ আগেই কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন দলে গিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যেই মোহভঙ্গ। ফের পদ্ম জার্সি খুলে কংগ্রেসে ফিরলেন তিনি।
কংগ্রেসের হরগোবিন্দপুরের বিধায়ক বলবিন্দর সিং লড্ডি। মাত্র ছয় দিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন দলে গিয়ে এক সপ্তাহও টিকতে পারলেন না। ষষ্ঠ দিনেই ঘর ওয়াপসি। রবিবার রাতে কংগ্রেসে ফিরেছেন তিনি। তাঁর ঘর ওয়াপসির জন্য ছোট করে একটি যোগদান কর্মসূচিও করেছিল পঞ্জাব কংগ্রেস। পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা হরিশ চৌধুরি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রানধাওয়ার হাত ধরে কংগ্রেসে ফেরেন হরগোবিন্দপুরের বিধায়ক।
বলবিন্দর সিং লাড্ডি বিজেপিতে যোগদানের পর এখনও তাঁর টুইটারের টাইমলাইনে পদ্ম কর্মী, সমর্থক ও নেতাদের অভিনন্দন বার্তা রয়েছে। বেশ কিছু অভিনন্দন বার্তা রিটুইটও করেছেন তিনি। পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট যত এগিয়ে আসছে, তত জার্সি বদলের পালা চোখে পড়ছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি আরও এক কংগ্রেস বিধায়ক, ফতেহ জং সিং বাজওয়া, যিনি পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা ছিলেন এবং সাংসদ প্রতাপ বাজওয়ার ভাই, তিনি সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
আগামী বছরের শুরুতেই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, গোয়ার সঙ্গেই হবে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুতেই পঞ্জাব কংগ্রসের অভ্যন্তরীণ সমস্যা যেন থামানোই যাচ্ছে না। বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে এবং তাতে বিড়ম্বনা বাড়ছে শতাব্দী প্রাচীন দলটির। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ক্যাপ্টেন অমরিন্দরের নাটকীয় পদত্যাগের পর চরমে উঠেছিল নয়া মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর দ্বন্দ্ব।
সিধুকে নির্বাচন কমিটির প্রধান করে সেই সংঘাতকে দমিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করেছিলেন রাহুল-সনিয়ারা। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি যে ভিন্ন বিধায়ক ও কংগ্রেস নেতার দলত্যাগের পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে পড়ছে রাজনৈতিক মহল। অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত দেশের শতাব্দী প্রাচীন এই দল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, অকালি দল ও পঞ্জাব লোক কংগ্রেস জোটকে হারিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন : Punjab Assembly Elections: ভোটে জিতলে অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের স্থায়ীকরণ, প্রতিশ্রুতি কেজরিওয়ালের