আসানসোল: ফের করোনা বিধি (Corona Guideline) ভাঙলেন হবু জনপ্রতিনিধিরা। করোনার বাড়বাড়ন্তে একাধিক জায়গায় মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জ়োন করেছে প্রশাসন। কিন্তু করোনা নিয়ে অসতর্ক আসানসোল পুরভোটের (Asansol Municipality Election) প্রার্থীদের বড় অংশ। কেউ কেউ মানলেন করোনা বিধি, তবেে বেশির ভাগ প্রার্থীকেই দেখা গেল তাঁরা করোনা নিয়ে উদাসীন। রবিবাসরীয় প্রচারে মানুষের কাছে পৌঁছনই যেন তাঁদের একমাত্র অভিষ্ট। তাই ভাঙলেন করোনা বিধি!
কোভিড পরিস্থিতি মধ্য দিয়েই রবিবাসরীয় প্রচার শুরু হল আসানসোলে। তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম মাত্র ৫ জন কর্মী নিয়ে প্রচারে বেরনোর কথা বললেও বাস্তবে দেখা গেল অন্য ছবি। যেন যত বেশি সংখ্যা ভোট প্রচারে বেরনো যায় তত শক্তি প্রদর্শন। বাম-ডান নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বেশির ভাগের মুখে দেখা গেল না মাস্ক। আবার ভোটারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবেও মেলামেশা করতে দেখা গেল প্রার্থীদের। চুলোয় গেল কোভিড দূরত্ববিধি।
এদিনের প্রচারে অবশ্য সিপিএম ও তৃণমূল প্রার্থীদের কয়েকজন কোভিড সতর্কতা মেনেছেন। তবে যেন ‘বেপরোয়া’ বিজেপি প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের আর্জি রয়েছে অনলাইন বা ডিজিটাল মিডিয়ার প্রচারে গুরুত্ব দিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। কিন্তু এই প্রার্থীদের দাবি, আসানসোলের বিস্তীর্ণ প্রান্তিক এলাকায় পিছিয়ে পড়া মানুষ থাকেন। তাঁদের অধিকাংশই টেক-স্যাভি নন। তাই ডিজিটাল প্রচার এখানে সম্ভব নয়। সুতরাং, ভাঙল করোনা বিধি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত মত, আগামী দুই মাস ভোট না হলেই ভাল। তার প্রেক্ষিতে সহমত হতে শোনা গেল আসানসোল পুরভোটে সিপিআইএম প্রার্থীদের। আবার, তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর দাবি সবটাই কমিশনের সিদ্ধান্ত। তবে সময়ের প্রতিবন্ধকতা থাকলেও প্রচার করে নিতে পারবেন তাঁরা। তবে সবই হচ্ছে, তবে করোনা নিয়ে বারবার অসেচনতার ছবি দেখা যাচ্ছে ভোটমুখী আসানসোলে।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘সাংসদ তহবিলের টাকা আটকে সুদ খাচ্ছে সরকার’, ফের বিস্ফোরক দিলীপ
আরও পড়ুন: Tarapith Temple: তারাপীঠে সমস্ত হোটেল বন্ধের নির্দেশ! করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতেই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের