Tarapith Temple: তারাপীঠে সমস্ত হোটেল বন্ধের নির্দেশ! করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতেই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
Birbhum: আজ বারোটার পর পর্যটকদের হোটেল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বীরভূম: ফের দাপাদাপি বেড়েছে করোনার (Corona)। নতুন বছরের শুরুতেই ঘোষণা হয়েছে আংশিক লকডাউনের। বিগত কয়েকদিন ধরে মাস্ক ছাড়াই যেভাবে বাঙালিকে উৎসবের আমেজে ভাসতে দেখা গিয়েছে তার ফলস্বরূপ যে করোনার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার তারাপীঠের সমস্ত হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। ৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তারাপীঠের সমস্ত হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন আগেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ থেকে এই নিয়ম অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে লাঘু করা হল। এর আগে তারাপীঠে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করেছিল প্রশাসন । মন্দির চত্ত্বরে শুধুমাত্র স্থানীয় কয়েকজন ভক্তকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তখন একসঙ্গে পঞ্চাশ জন প্রবেশ করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছিল।
কিন্তু এখন শীতকাল। উপরন্তু পিকনিকের মরসুম। তাই ভিড় বাড়ছিল পর্যটকদের । যেভাবে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে চিন্তিত রাজ্য সরকার । সেইদিক ভেবে এবার তারাপীঠে হোটেল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন । সেইমতই আজ থেকে আর কোন পর্যটককেই হোটেলে রুম দেওয়া হবেনা । যেসমস্ত পর্যটক হোটেলে রয়েছেন তাদের আজ দুপুর বারোটার মধ্যে হোটেল ছেড়ে দিতে হবে। এক পর্যটক বলেন, “আমরা জানতাম না। হঠাৎ করে বলা হয় যে বারোটার পর আর থাকতে পারা যাবে না। আমাদের দু’দিন পরে ট্রেন। একটু যদি সময় দেওয়া হতো ভালো হত”
এদিকে হোটেলে থাকা পর্যটকদের দাবি কয়েক ঘণ্টার নোটিশে হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত না নিয়ে দু’দিন সময় দিয়ে হোটেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হত। অনেকেই ফেরার টিকিট রয়েছে দু’দিন বা তিন দিন পরে । সুতরাং বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের । এদিকে হোটেল বন্ধের নির্দেশ দিতেই জনশূন্য তারাপীঠ।
এর আগে খবরের শিরোনামে এসেছিল তারাপীঠ। মন্দির খোলা থাকার কারণে বেড়েছিল পর্যটকের সংখ্যা। থিকথিকে ভিড় লক্ষ্য় করা যায় মন্দির চত্ত্বরে। সেই ভিড় থেকে বোঝাই যাচ্ছিল যে অনেক দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীরা এসেছেন পুজো দিতে। পাশাপাশি দেখা যায় পুজো দেওয়ার দীর্ঘ লাইন। তখনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যেভাবে কোভিড বাড়ছে তাতে এই জনগণের ভিড় সত্যিই অবাক করা। তবে বীরভূম জেলায় যে ভাবে সংক্রমণের হার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেক্ষেত্রে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে কোনও রকম ভাবে করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে পারবে না প্রশাসন। সেই কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Municipal Election in Corona Situation: দেওয়াল লিখনে প্রার্থীর নাম নেই, আছে ওমিক্রন সচেতনতার বার্তা!