নয়া দিল্লি: আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিন (Assembly Election 2022 Date) ঘোষণা করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন(Election Commission of India)। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণই। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ(Rajesh Bhushan)-র সঙ্গে দেখা করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, আজই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব নির্বাচন কমিশনকে ভোটমুখী পাঁচ রাজ্য়ের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবে।
ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্য়েই উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি রাজ্যে পরিদর্শন সেরেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে কমিশন। তারই আগে পাঁচ রাজ্য়ের করোনা পরিস্থিতি যাচাই করে নিতে চায় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ভোটমুখী পাঁচ রাজ্য তথা গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন। এবারে আলোচনার নজরে থাকবে উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরের করোনা পরিস্থিতি।
রাজ্যের পরিধি অনুযায়ী উত্তর প্রদেশ সবথেকে বড় রাজ্য হওয়ায় এবং বিগত দুটি সংক্রমণের ঢেউয়ের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই উত্তর প্রদেশের করোনা পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে উত্তর প্রদেশের নির্বাচন নিয়ে বলা হয়েছিল, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি করোনা বিধি মেনেই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেরাই নির্বাচন কমিশনের কাছে সংক্রমণ থেকে বাঁচার নানা উপায় কার্যকর করার প্রস্তাব দিয়েছেন, একইসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে কোভিডবিধি ভঙ্গ করা নিয়েও নিজেরাই অভিযোগ জানিয়েছেন। করোনাবিধি অনুসরণ করে ভোটগ্রহণের জন্য রাজ্যে বিধিনিষেধ জারির প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা।
উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব সহ যে পাঁচ রাজ্যে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেখানে যাতে টিকাকরণের হার বৃদ্ধি করা হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সমস্ত ভোটকর্মীদের অবশ্যই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত হতে হবে। একইসঙ্গে তাদের প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে গণ্য করা হবে এবং তারা যাতে দ্রুত বুস্টার বা প্রিকশন ডোজ় পান, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের সমস্ত ভোটাররাও যাতে কমপক্ষে করোনা টিকার একটি ডোজ় পান, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের বুধবারই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জরুরি বৈঠকে বসে। এই বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়ই ছিল, করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচার ও মিছিল করা আদৌই উচিত কিনা। এছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলির মিটিং, মিছিলের অনুমতি ও উপস্থিত জনসংখ্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।