শিয়রে ভোট গোয়া, উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে। গোয়ায় ভোট হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট এই সৈকত পারে। নির্বাচনের আগে নির্বাচনমুখী রাজ্যগুলিতে ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই। নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে উঠছে জোট গঠনের কথাও। এইবার সেই সুরে সুর মেলালেন এনসিপি (Nationalist Congress Party) নেতা শরদ পাওয়ার। মঙ্গলবার এনসিপি নেতা জানান, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও অন্যান্য ছোটো দলের সঙ্গে একজোটে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন লড়বে তাঁর পার্টি।
আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার বলেছেন, “বিজেপির ১৩ জন বিধায়ক সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেবেন।” এর আগে বিজেপির শ্রম মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন এবং তিনি আজ সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন। এই ঘটনার পরই এরকম বিস্ফোরক দাবি করেন এনসিপি নেতা। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলেন, “উত্তর প্রদেশের মানুষ বদল চাইছেন। আমরা নিশ্চয়ই রাজ্যে সেই বদল দেখতে পাব। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করা হয় উত্তর প্রদেশে। উত্তর প্রদেশের মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।” সাংবাদিক সম্মেলনে গোয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে জোটের জন্য আমরা কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলছি।” গোয়ার প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্রে বর্তমানে ক্ষমতায় আছে মহা বিকাশ আঘাদি (MVA)সরকার। এই জোটের অন্যতম দল হল এনসিপি। এনসিপি, কংগ্রেস ও শিব সেনা একত্রে সেখানে সরকার গঠন করেছে। উত্তর প্রদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে পাওয়ার বলেন, তাঁর পার্টি অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও অন্যান্য ছোটো দলের সঙ্গে একজোটে উত্তর প্রদেশে নির্বাচন লড়বে।
রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য সর্বভারতীয় কংগ্রেসের দিকে জোটের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে তৃণমূল । গোয়ার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের টুইট বার্তায়ও কিছুটা এরকম ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা পি চিদাম্বরম আবার জানিয়েছেন, তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের আবেদন পেলে কংগ্রেসও ভেবে দেখবে। এরই মাঝে গোয়ার জোটের বিষয়ে পাওয়ার বক্তব্য সামনে এল। তবে কংগ্রেসের বড় নেতার এই মুহুর্তে গোয়ায় জোটের বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি।
উল্লেখ্য, এর আগে কংগ্রেস বলেছিল বিজেপিকে রুখতে তারা যেকোনও দলের সমর্থন গ্রহণ করতে রাজি। কিছুদিন আগে তৃণমূলের মহুয়া মিত্রও ঠিক একই কথা বলেছেন। এর থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার, বিজেপিকে রোখার জন্য কংগ্রেস, তৃণমূল এবং এনসিপি একসঙ্গে লড়াই করতে পারে গোয়াতে। কিছুদিন আগে মুম্বাই সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ায়ের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি। তারপর জোট প্রসঙ্গে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে। সম্প্রতি গোয়ার এনসিপি বিধায়ক চার্চিল আলেমাও এনসিপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে। এখন বিজেপিকে ঠেকাতে আসন্ন নির্বাচনে গোয়ার রাজনৈতিক সমীকরণ কী হয় তাই দেখার।