Yogi Adityanath: ‘শরিয়ত না, নতুন ভারত চলবে সংবিধান মেনে’ দাবি যোগীর, বোঝালেন ৮০ বনাম ২০ শতাংশের হিসাবও

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Feb 14, 2022 | 12:54 PM

Uttar Pradesh Assembly Election 2022: ছাত্রীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে দিয়ে গেরুয়া শাল পরাকে কেন্দ্র করেও যে বিতর্ক শুরু হয়েছেন, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি কি উত্তর প্রদেশের দলীয় কর্মী বা সাধারণ মানুষদের গেরুয়া বসন পরতে বলেছি? ওনারা নিজেদের ইচ্ছা মতো  যা কিছু পরতে পারেন। কিন্তু স্কুলে একটা নির্দিষ্ট পোশাকবিধি থাকা উচিত।"

Follow Us

নয়া দিল্লি: দ্বিতীয় দফার ভোট পর্ব শুরু হয়েছে উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh Assembly Election 2022), এরই মাঝে নতুন ভারত গড়ার বার্তা দিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ(Yogi Adityanath)। এদিন তিনি সংবাদসংস্থা এএনআই(ANI)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নতুন ভারত কোনও শরিয়ত আইন মেনে বা ‘গাজভা-এ-হিন্দ’-র স্বপ্নে নয়, বরং সংবিধান অনুযায়ীই পরিচালিত হবে। একইসঙ্গে সম্প্রতি তাঁর ‘৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশ’র মন্তব্য নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা দূর করে তিনি জানান, যারা উন্নয়ন চান এবং যারা সবকিছুর বিরোধিতা করেন, তাদের শতাংশ বোঝাতেই ওই মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

এদিন সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি যে এটা নতুন ভারত। এটা সেই ভারত যেখানে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই নতুন ভারতে সকলের  জন্য উন্নয়ন হয় এবং কারোর জন্যই তোষণনীতি অনুসরণ করা হয় না। এই নতুন ভারত কেবল সংবিধান অনুযায়ী চলে, কোনও শরিয়ত মেনে নয়। বিশ্বের বিনাশের শেষ অবধি গাজভা-এ-হিন্দের স্বপ্ন পূরণ হবে না।”

উল্লেখ্য, এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে একাধিক টুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, “যারা গাজভা-এ-হিন্দের স্বপ্ন দেখেন, তালিবানি চিন্তাধারায় ধর্মীয় গোঁড়ামি মেনে চলেন, তারা ভালভাবে বুঝে নিন, ভারত সংবিধান মেনেই চলবে, শরিয়ত মেনে নয়….”

হিজাব বিতর্ক নিয়েও মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী:

কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে প্রতিটি ব্যবস্থা সংবিধান মেনে পরিচালিত হওয়া উচিত। আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস, মৌলিক অধিকার, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ দেশের উপর বা কোনও প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দিতে পারি না।”

ছাত্রীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে দিয়ে গেরুয়া শাল পরাকে কেন্দ্র করেও যে বিতর্ক শুরু হয়েছেন, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কি উত্তর প্রদেশের দলীয় কর্মী বা সাধারণ মানুষদের গেরুয়া বসন পরতে বলেছি? ওনারা নিজেদের ইচ্ছা মতো  যা কিছু পরতে পারেন। কিন্তু স্কুলে একটা নির্দিষ্ট পোশাকবিধি থাকা উচিত। এটা সম্পূর্ণরূপে স্কুল ও তার নিয়মবিধি সম্পর্কিত। একজনের ব্যক্তিগত বিশ্বাস আলাদা হতেই পারে, কিন্তু কথা যখন প্রতিষ্ঠান নিয়ে হচ্ছে, তখন সকলকে সেখানকার নিয়ম মানতেই হবে। জাতীয় ক্ষেত্রেও সর্বদাই সংবিধান অনুসরণ করে চলা উচিত।”

৮০ বনাম ২০ বিতর্ক:

মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলিম ভোট বিভাজনের যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা দূর করে এদিন যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আমি নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮০ বনাম ২০ শতাংশের লড়াইয়ের কথা বলেছিলাম, যেখানে ৮০ শতাংশ হলেন তারা, যারা উন্নয়নের সপক্ষে। আর বাকি ২০ শতাংশ সবকিছুরই বিরোধিতা করেন, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলেন।”

এই বিষয়ে তিনি আরও ব্যাখ্য়া করে বলেন, “৮০ শতাংশ হলেন ওই সমস্ত মানুষেরা, যারা রাজ্য সরকারের নিরাপত্তার এডেন্ডা নিয়ে খুশি, তারা জনসাধারণের জন্য চালু করা বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসা করেন, উন্নয়ন পছন্দ করেন। সরকারি অফিসে যারা সত্যতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেন, তারাই ওই ৮০ শতাংশ মানুষের মধ্যে পড়েন। বাকি ২০ শতাংশ হলেন তারা, যারা সমস্ত বিষয়েই বিরোধিতা করেন। আগেও তারা সবকিছুর বিরোধিতা করেছেন এবং আগামিদিনেও তাই করবেন। তাদের চিন্তাধারা নেতিবাচক, অপরাধ ও টাকাই পছন্দ। এরা এইরকমই থাকবে।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

নয়া দিল্লি: দ্বিতীয় দফার ভোট পর্ব শুরু হয়েছে উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh Assembly Election 2022), এরই মাঝে নতুন ভারত গড়ার বার্তা দিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ(Yogi Adityanath)। এদিন তিনি সংবাদসংস্থা এএনআই(ANI)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নতুন ভারত কোনও শরিয়ত আইন মেনে বা ‘গাজভা-এ-হিন্দ’-র স্বপ্নে নয়, বরং সংবিধান অনুযায়ীই পরিচালিত হবে। একইসঙ্গে সম্প্রতি তাঁর ‘৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশ’র মন্তব্য নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা দূর করে তিনি জানান, যারা উন্নয়ন চান এবং যারা সবকিছুর বিরোধিতা করেন, তাদের শতাংশ বোঝাতেই ওই মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

এদিন সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি যে এটা নতুন ভারত। এটা সেই ভারত যেখানে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই নতুন ভারতে সকলের  জন্য উন্নয়ন হয় এবং কারোর জন্যই তোষণনীতি অনুসরণ করা হয় না। এই নতুন ভারত কেবল সংবিধান অনুযায়ী চলে, কোনও শরিয়ত মেনে নয়। বিশ্বের বিনাশের শেষ অবধি গাজভা-এ-হিন্দের স্বপ্ন পূরণ হবে না।”

উল্লেখ্য, এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে একাধিক টুইট করেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, “যারা গাজভা-এ-হিন্দের স্বপ্ন দেখেন, তালিবানি চিন্তাধারায় ধর্মীয় গোঁড়ামি মেনে চলেন, তারা ভালভাবে বুঝে নিন, ভারত সংবিধান মেনেই চলবে, শরিয়ত মেনে নয়….”

হিজাব বিতর্ক নিয়েও মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী:

কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে প্রতিটি ব্যবস্থা সংবিধান মেনে পরিচালিত হওয়া উচিত। আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস, মৌলিক অধিকার, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ দেশের উপর বা কোনও প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দিতে পারি না।”

ছাত্রীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে দিয়ে গেরুয়া শাল পরাকে কেন্দ্র করেও যে বিতর্ক শুরু হয়েছেন, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি কি উত্তর প্রদেশের দলীয় কর্মী বা সাধারণ মানুষদের গেরুয়া বসন পরতে বলেছি? ওনারা নিজেদের ইচ্ছা মতো  যা কিছু পরতে পারেন। কিন্তু স্কুলে একটা নির্দিষ্ট পোশাকবিধি থাকা উচিত। এটা সম্পূর্ণরূপে স্কুল ও তার নিয়মবিধি সম্পর্কিত। একজনের ব্যক্তিগত বিশ্বাস আলাদা হতেই পারে, কিন্তু কথা যখন প্রতিষ্ঠান নিয়ে হচ্ছে, তখন সকলকে সেখানকার নিয়ম মানতেই হবে। জাতীয় ক্ষেত্রেও সর্বদাই সংবিধান অনুসরণ করে চলা উচিত।”

৮০ বনাম ২০ বিতর্ক:

মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ৮০ শতাংশ বনাম ২০ শতাংশের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলিম ভোট বিভাজনের যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা দূর করে এদিন যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আমি নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮০ বনাম ২০ শতাংশের লড়াইয়ের কথা বলেছিলাম, যেখানে ৮০ শতাংশ হলেন তারা, যারা উন্নয়নের সপক্ষে। আর বাকি ২০ শতাংশ সবকিছুরই বিরোধিতা করেন, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলেন।”

এই বিষয়ে তিনি আরও ব্যাখ্য়া করে বলেন, “৮০ শতাংশ হলেন ওই সমস্ত মানুষেরা, যারা রাজ্য সরকারের নিরাপত্তার এডেন্ডা নিয়ে খুশি, তারা জনসাধারণের জন্য চালু করা বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসা করেন, উন্নয়ন পছন্দ করেন। সরকারি অফিসে যারা সত্যতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেন, তারাই ওই ৮০ শতাংশ মানুষের মধ্যে পড়েন। বাকি ২০ শতাংশ হলেন তারা, যারা সমস্ত বিষয়েই বিরোধিতা করেন। আগেও তারা সবকিছুর বিরোধিতা করেছেন এবং আগামিদিনেও তাই করবেন। তাদের চিন্তাধারা নেতিবাচক, অপরাধ ও টাকাই পছন্দ। এরা এইরকমই থাকবে।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article