নয়া দিল্লি: একে একে ভোটমুখী বিভিন্ন রাজ্যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে শুরু করেছে কংগ্রেস (Congress)। কোথাও নতুন মুখের ছড়াছড়ি, কোথাও আবার পুরনোদের উপরই আস্থা রেখেছে প্রধান বিরোধী দল। শনিবার কংগ্রেস উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের (Uttarakhand Assembly Election 2022) জন্যও প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা (Candidate List) প্রকাশ করা হয়। এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৫৩ জন প্রার্থী। এদের মধ্য়ে অধিকাংশই আবার পুরনো প্রার্থী।
শনিবার কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, উত্তরাখণ্ডে দলের সভাপতি গনেশ গোদিয়াল শ্রীনগর কেন্দ্র থেকে লড়বেন এবং বিরোধী দলনেতা প্রীতম সিংকে চক্রতা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে মনোনিত করা হচ্ছে। তবে প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী হরিশ রাওয়াত বা সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া হরক সিং রাওয়াতের নাম প্রথম প্রার্থী তালিকায় নেই। ২০১৭ সালে হরিশ রাওয়াত হরিদ্বার ও কিচ্চা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কিন্তু জয়লাভ করতে পারেননি।
অন্য়দিকে, সদ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করা প্রাক্তন স্পিকার যশপাল আর্যকে বাজপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। তাঁর ছেলে সঞ্জীব আর্যকেও নৈনিতাল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
গত বছরের জুন মাসেই প্রয়াত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ইন্দিরা হৃদ্বয়েশের ছেলে সুমিত হৃদ্বয়েশকে হালদোয়ানি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। কেদারনাথের বিধায়ক মনোজ রাওয়াতকেও কংগ্রেসের তরফে ফের একবার প্রার্থী করা হচ্ছে। ভগবানপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান বিধায়ক মমতা রাকেশ।
এছাড়াও একাধিক বিধায়ক যেমন ফুরকান আহমেদকে পিরানকালিয়ার, কাজি মহম্মদ নিজামুদ্দিনকে মাঙ্গলর, করণ মাহারাকে রানিক্ষেত, গোবিন্দ সিং কুঞ্জওয়ালকে জাগেশ্বর ও আদেশ সিং চৌহানকে জসপুর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং নেগিকে কোটদ্বার কেন্দ্র থেকেই ফের একবার প্রার্থী করা হয়েছে। জিত রাম ২০১৭ সালে থারালি কেন্দ্র থেকে হেরে গেলেও এবারও তাঁকে সেই কেন্দ্র থেকেই দাঁড় করানো হয়েছে। একইভাবে বিজয়পাল সিং সজ্জন, যিনি গঙ্গোত্রী কেন্দ্র থেকে ২০১৭ সালে হেরে গিয়েছিলেন, তাঁকেও ফের একই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
অন্য়দিকে, ২০১৭ সালে বিজেপির টিকিটে হেরে যাওয়া প্রার্থী মালচন্দকে কংগ্রেস তাঁর পুরনো কেন্দ্র পুরোলা থেকেই প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছে।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ডে ৭০টি কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের ফল বের হবে ১০ মার্চ। বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস এবার প্রশাসনে দুর্নীতি, বারংবার মুখ্যমন্ত্রী বদল, আটকে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের রাজকেই প্রচারের হাতিয়ার করেছে। অন্যদিকে, বিজেপির তরফেও ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেসের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারে। বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে দলবদলের খেলা। একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসেও একই চিত্র দেখা যায় কিনা, তা বলবে সময়।