‘ওদের প্রার্থী দু’বার হেরেছে, আমাদের লোককেই ভোটে দাঁড় করাতে হবে’, জোটপ্রার্থী নিয়ে হইচই কংগ্রেসের

Mar 14, 2021 | 11:22 AM

সংযুক্ত মোর্চার (Sanyukt Morcha) পক্ষ থেকে ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রের মুখ হিসাবে সিপিআই প্রার্থী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

ওদের প্রার্থী দুবার হেরেছে, আমাদের লোককেই ভোটে দাঁড় করাতে হবে, জোটপ্রার্থী নিয়ে হইচই কংগ্রেসের
ফাইল চিত্র।

Follow Us

উত্তর দিনাজপুর: সুষ্ঠুভাবে জোট (Left-Congress Alliance) এগিয়ে নিয়ে যেতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন মরিয়া, নিচু স্তরে কর্মীদের মধ্যে তখন ক্ষোভের সুর। ইটাহারে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসাবে বামফ্রন্টের মুখ নয়, কংগ্রেস প্রার্থী চাই, উঠল সুর। শনিবার রায়গঞ্জে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এ নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভেও শামিল হন ইটাহার বিধানসভার কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশ। একদিকে যখন রায়গঞ্জের বিধানমঞ্চে বাম-কংগ্রেসের যৌথ কর্মিসভা চলছে, ঠিক সে সময়ই জেলা কংগ্রেস ভবনে দলীয় কর্মীদের এই বিক্ষোভে রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছে। যদিও আলোচনার মাধ্যমেই নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে বলে জানিয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।

সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রের মুখ হিসাবে সিপিআই প্রার্থী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাম আমলে রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকুমারবাবু ২০১১ সালে ইটাহারের তৃণমূল প্রার্থী অমল আচার্যর কাছে হেরে যান। তবু ২০১৬ সালেও ফের তিনিই বামেদের মুখ ছিলেন এই কেন্দ্রে। সে বছরও ফলাফলে কোনও বদল আসেনি।

আরও পড়ুন: প্রার্থী হিসাবে বিদেশ বসু ‘না-পসন্দ’! তৃণমূল ছাড়লেন উলুবেড়িয়ার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান

এই অবস্থায় শ্রীকুমারবাবুর জোট প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের দাবি, কংগ্রেস ইটাহারে যথেষ্ট শক্তিশালী। গত লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট না হলেও সেক্ষেত্রে ইটাহারে বামেদের থেকে অনেক বেশি ভোট পেয়েছিল তারা। তবু কেন দু’বারের হেরে যাওয়া মুখকে জোট এবারও তুলে আনল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষুব্ধরা।

এ প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, “বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার আছে সকলেরই। তবে জাতীয় কংগ্রেস নিশ্চয়ই তাদের কর্মীদের বোঝাবে, এটা জেলাগত বা বিধানসভাগত বিষয় নয়। এটা রাজ্যস্তরে একটা মহাজোট। রাজ্যস্তরের নেতৃত্বই আসন বণ্টন করেছে। জোট রাজনীতিটাই এমন। আসন সমঝোতা হলে সকলে সব আসন পায় না। এটা দল নিশ্চয়ই তাদের বোঝাবে।”

জেলা কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চন্দের বক্তব্য, “আসলে এখন কংগ্রেসে উৎসাহী মানুষের সংখ্য়া অনেক। সেটা ইটাহারকে দেখলেই বোঝা যাবে। তবে জোট হয়েছে যেহেতু, জোটের বাইরে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের রাজ্য নেতৃত্ব, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা ঠিক করে দিয়েছেন তা আমরা মানতে বাধ্য সবাই। আমরা সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করব।”

Next Article