সোমবার চার পুরনিগমের ফলাফল ঘোষণা। ১২ ফেব্রুয়ারি পুর নির্বাচন হয়েছে বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমে। আজ এই চার পুরনিগমেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা। এই চার পুরনিগমে পুরবোর্ড গঠনে কোন দল অগ্রাধিকার পাবে তা চূড়ান্ত হবে ভোট গণনার পর। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা। ৪১ টি ওয়ার্ড সমন্বিত বিধাননগর পুরনিগমে প্রার্থী ২০৩ জন। এই পুরনিগমে ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার। বিধাননগর কলেজে তৈরি হয়েছে স্ট্রং রুম। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বিধাননগর কলেজে। বিধাননগরের পাশাপাশি ভোট গণনা রয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমেও। ৪৭ টি ওয়ার্ড সমন্বিত শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোটার সংখ্যা ৪ ক্ষ ২ হাজার। ২০০ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ। শিলিগুড়ি কলেজে ভোট গণনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিলিগুড়ি কলেজ চত্বর এবং স্ট্রং রুমে কড়া নিরপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভোটগণনা হবে আসানসোল এবং চন্দননগর পুরনিগমেও।
যত বেশি জয় আসবে, তত বেশি করে নম্র হতে হবে। সোমবার রাজ্যের চার পুরনিগমে তৃণমূলের জয় জয়কারের পর এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শিলিগুড়িতে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য শিল্পায়ন। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান বাড়ানোও তৃণমূল সরকারের লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
সবিস্তারে পড়ুন: CM Mamata Banerjee: ‘যত জিতব তত বেশি নম্র হতে হবে’, মানুষকে জয় উৎসর্গ করে বার্তা মমতার
আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯১ টি ওয়ার্ডে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি জিতেছে ৭ টি আসনে (১৭,১৮,২৭,২৯,৬৯,১০৩, ১০৫ নং ওয়ার্ড)। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে তিনটি আসন (২৫, ২৮, ৫৯ নং ওয়ার্ড)। নির্দল প্রার্থী জিতেছেন তিনটি ওয়ার্ডে (৬৫, ৬৭, ৬৮ নং ওয়ার্ড)। সিপিএম জিতেছে দুটি ওয়ার্ডে (৩৩,৪৩ নং ওয়ার্ড)। টাই হয়েছে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও সিপিএম প্রার্থীর মধ্যে। দু’জনেরই প্রাপ্ত ভোট ২২৫৮। তারপর দুই প্রার্থীর মধ্যে লটারি করা হয়। লটারিতে নাম ওঠে তৃণমূল প্রার্থী আশা প্রসাদের। তাঁকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তৃণমূলের বড় মুখ মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই প্রাক্তন মেয়র পারিষদ অভিজিত ঘটক, প্রাক্তন পুরচেয়ারম্যান ও বিদায়ী পুরপ্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেস থেকে আসা ইন্দ্রাণী মিশ্র, প্রাক্তন কুলটি পুরচেয়ারম্যান ও প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন। আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি।
আসানসোল পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে টাই হয়েছে। এই ওয়ার্ডে তৃণমূূল ও বাম প্রার্থী সমান সমান ভোট পেয়েছেন। জিতবেন তিনিই কাউন্সিলর। টসের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে জয়-পরাজয়।
কলকাতায় তৃণমূল বিপুলভাবে জয়ী হয়েছিল। পুরবোর্ডে রীতিমত কোনও বিরোধী শিবিরের পায়ের ছাপ ফেলতে দেয়নি তৃণমূল। কলকাতার পর এইবার চার পুরনিগমেও সেই ঝড় বজায় রাখল ঘাসফুল শিবির। শিলিগুড়ি পুরনিগমে এই প্রথম সিপিএমকে হারিয়ে পুরবোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল। চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে উড়ছে সবুজ আবির। অন্য কোনও ফুল ফুটতে দেয়নি ঘাসফুল শিবির।
চন্দননগর পুরনিগমের ৩৩ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১ টিতে জয় হয়েছে তৃণমূলের। ১ টি আসনে জয় পেয়েছে বাম প্রার্থী। একটি আসনে নির্বাচন হয়নি।
বিধাননগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের কষ্ণা চক্রবর্তী। বিধাননগরে জয়ের পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “কে মেয়র হল সেটা বড় কথা নয়। দলের কর্মী থাকতে পারলাম কিনা বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয় জয় করতে পারলাম কিনা সেটাই বড় কথা।”
চন্দননগর পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মুন্না আগরওয়াল। তিনি ১১১৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের চূড়ান্ত ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। ৪৭ টি আসনের মধ্যে ৩৭ টি আসন রয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। ৫ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে বিজেপি। চারটি আসনে নিজেদের আসন ধরে রাখতে পেরেছে বামেরা। কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন।
বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ৩৯ টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ১ টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। ১ টি আসন পেয়েছে নির্দল।
বিধাননগর পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের সব্যসাচী দত্ত। ভোটে জয়ের পরই তিনি কালীঘাটে যান। সেখানে অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর।
চন্দননগর পুরনিগমের একটি ওয়ার্ডে জয়ী বাম প্রার্থী। ১৬ নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে বাম শিবির।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনে ২৪ নং ওয়ার্ডে পরাজিত হলেন বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক পুর নির্বাচনে সেই জয় ধরে রাখতে পারলেন না বিজেপি বিধায়ক। তিনি ওয়ার্ডে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। নির্দল প্রার্থী বিকাশ সরকারকে হারিয়ে ১১ ভোটে জিতলেন তৃণমূলের প্রতুল চক্রবর্তী।
আসানসোলে ১০৬ টি ওয়ার্ড। প্রথম পর্যায়ের ৫৩ টি ওয়ার্ডের গণানা শেষ। দ্বিতীয় পর্যায়ের ৫৩ টি ভোটগণনা শুরু হল।
বিজয়ের উদযাপনে সংঘর্ষ। বিধাননগর কলেজের বাইরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মতপার্থক্য নিয়ে সংঘর্ষ বাধে।
চন্দননগর পুরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শুভ্রা দাস। তিনি ৯৫১ ভোটে জিতেছেন।
চার পুরনিগমের ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই আনন্দ উৎসব শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিভিন্ন জায়গায় সবুজ আবির দিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছেন তারা। কোথাও কোথাও ব্যান্ড পার্টি নিয়ে হই হুল্লোড়ের ছবিও দেখা গিয়েছে।
শিলিগুড়ির মেয়র হবেন গৌতম দেব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানিয়েছেন। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩ নং ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব জয়ী হয়েছেন। এই প্রথম শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল।
১৯৯৫ সাল আজ পর্যন্ত এই প্রথম চন্দননগরের ৩ নং ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে তৃণমূল। এই ওয়ার্ড থেকে ৪৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন গীতাঞ্জলি শেঠ।
চন্দননগর পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বিনয় কুমার শ। তিনি ৬৯১ ভোটে জিতেছেন।
চন্দননগর পুরনিগমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সুপ্রীতি দত্ত। তিনি ৮১২ ভোটে জিতেছেন।
বিধাননগর পুরনিগমের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আরাত্রিকা ভট্টাচার্য। প্রাক্তন মেয়র ও বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জির মেয়ে আরাত্রিকা ভট্টাচার্য।
বিধাননগর পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯১৯ ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রসেনজিৎ নাগ।
চন্দননগর পুরনিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম প্রার্থী অভিজিৎ সেন।
চন্দননগর পুরনিগমের ৯ নং ওয়ার্ডে ১৩০৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন তণমূল প্রার্থী স্নিগ্ধা রায়।
চন্দননগর পুরনিগমের ৫ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মণিকা মণ্ডল। তিনি ৯০১ ভোটে সিপিএমকে হারিয়েছেন।
আসানসোল পুরনিগমের ৩, ৪, ৬, ৭, ১১, ১২, ১৩, ১, ৩, ৮, ১১, ১৯, ২০, ৩৫, ৩৭, ৪৫ এবং ৪৯ টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে তৃণমূল।
শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। ৩০০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। তিনি গত পুরসভা বোর্ডে মেয়র ছিলেন।
চন্দননগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয় হয়েছে তৃণমূলের। এই ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন সবিতা দাস।
বিধাননগর পুরনিগমের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবরাজ চক্রবর্তী। ৫৬৬৮ টি ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব।
আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি। ভোটগ্রহণের দিন আটকানো হলেও শেষ পর্যন্ত জয় হাশিল করলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি পত্নী।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১ নং ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায়।
আসানসোল পুরনিগমের ৪০ এবং ৪৪ নং ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়।
বিধাননগর পুরনিগমে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী মমতা মণ্ডল ৪০৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছে।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন।
শিলিগুড়ি পুরনিগমে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষ্মী পাল।
পোস্টাল ব্যালট গণনা শেষ হয়েছে। পোস্টাল ব্যালটে চন্দনগরে ১৯ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। আসানসোলে ৭টি ওয়ার্ডে এবং বিধাননগরে ১১ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস।
পোস্টাল ব্যালটের গণনা শেষ। চন্দননগরের ভোটগণনাকেন্দ্রে ইভিএম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিধাননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পোস্টাল ব্যালটে গণনা শেষ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশুতোষ নন্দীর থেকে ৩ ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী সমীর রায়।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি।
বিধাননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী।
ইতিমধ্যেই চন্দননগরে পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বামেদের জন্য খুশির খবর। চন্দননগরের ৫ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে সিপিএম। ১, ১২, ১৪, ১৮ এবং ২০ ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে মুন্না আগরওয়াল।
বিধাননগরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। তিনি সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তারপরই পুরভোটে প্রার্থী করা হয় তাঁকে।
ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুরনিগমে ভোটগণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়শ্রী বাগুই ৩৭৮ ভোটে এগিয়ে।
শিলিগুড়ির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই ওয়ার্ড থেকে বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ।
পোস্টাল ব্যালট গণনায় শিলিগুড়ির ৩৩ নং ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩৩ নং ওয়ার্প্রাড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী গৌতম দেব।
পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে সিপিএম প্রার্থী তথা বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি ৬ নম্বর থেকে সিপিএম এর প্রার্থী হয়েছিলেন।
শিলিগুড়িতে পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭ টি ওয়ার্ডের ফলাফল আজ। ৪৭ টি ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছে ২০০ জন।
শুরু হল ভোটগণনা। প্রথমে শুরু হয়েছে পোস্টাল ব্যালট গণনা। অন্য কক্ষে হবে ইভিএম গণনা।
চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরে শ্রী কুমার ভট্টাচার্য্য ভবনের দুটি হলে ২০ টি টেবিলে ভোট গণনা হবে। প্রথমে ১ থেকে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গণনা হবে। গণনা কেন্দ্রে আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গণনা কেন্দ্রের সামনের সব রাস্তা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গণনা কেন্দ্রের এলাকা।
বিধাননগর পুরনিগমের ভোটগণনা হবে বিধাননগর কলেজে। সেখানে মোট টেবিলের সংখ্যা ৪১ টি। সূত্রের খবর বিধাননগরে ১৪ রাউন্ড ভোটগণনা হবে এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে আট রাউন্ড গণনা হবে। এই পুরনিগমে মোট ভোটার ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৪০ জন। ভোট পড়েছে ৭২.৫ শতাংশ। গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
৪ পুরনিগমের তালিকায় রয়েছে শিলিগুড়ির নামও। এখানে শিলিগুড়ি কলেজে বসেছে স্ট্রং রুম। ৬-৭ রাউন্ড ভোটগণনা হবে এই পুরনিগমে।
সূত্রের খবর চন্দননগরে ৬-১১ রাউন্ড ভোটগণনা হবে। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১১৭ জন প্রার্থীর।
সূত্রের খবর বিধাননগর পুরনিগমে ৮-১৪ রাউন্ড ভোটগণনা হবে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় হবে ভোটগণনা।
চার পুরনিগমের মধ্যে সবচেয়ে বড় আসানসোল পুরনিগম। এইখানে ১০৬ টি ওয়ার্ড রয়েছে। আসানসোলের পুরনিগমে ২২ রাউন্ড ভোটগণনা হবে।
ভোট গণনার আগের রাতে আসানসোলের স্ট্রং রুম ঘিরে বিক্ষোভ বিরোধীদের। ধাদকা পলিটেকনিক কলেজের স্ট্রং রুমে রয়েছে ১২৮২ টি ইভিএম। রাতে হঠাৎ করেই সেখানে সিসিটিভি বন্ধের অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এর প্রতিবাদে পলিটেকনিক কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী শিবিরের প্রার্থী ও কর্মীরা। বিরোধীদের হঠাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানা গিয়েছে।
গঙ্গাপাড়ের চন্দননগরে ভাগ্য গণনা হবে ১১৭ জন প্রার্থীর। এই পুরনিগমে ভোটার ১ লক্ষ ৪৪ হাজার। ৮ টা থেকে শুরু হবে ভোটগণনা।
আজ ভোটগণনা হবে চার পুরনিগমের মধ্যে সবথেকে বড় পুরনিগম আসানসোল পুরনিগমে। ১০৬ টি ওয়ার্ড সমন্বিত আসানসোল পুরনিগমে ভোটার ৯ লক্ষেরও বেশি। সোমবার এই পুরনিগমে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৪৩০ জন প্রার্থীর। জানা গিয়েছে প্রথম পর্যায়ে ৫৩ টি ওয়ার্ডের ভোটগণনা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে আরও ৫৩ টি ওয়ার্ডে গণনা হবে। বেলা ১২ টা নাগাদ পরিষ্কার হয়ে যাবে আসানসোলের পুরবোর্ড এইবার কার দখলে।