Municipality Election: প্রচারে নিয়ম ভাঙায় তিনজনকে শোকজ নোটিস নির্বাচন কমিশনের
Municipal Election: নিয়ম মোতাবেক, কমিশন কাউকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব তলব করা হয়। সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারে।
কলকাতা: পুরভোটের প্রচারে তারস্বরে মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমে ভোট। তার আগে মঙ্গলবার প্রচার নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। সেখানে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মাইক বাজানো যাবে না বলে রাজনৈতিক দলগুলিকে সতর্ক করেছে কমিশন। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, রাত ন’টা থেকে পরের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত কোনও ভোটপ্রচার করা যাবে না। ভোটপ্রচারে নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিসও ধরিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
শিলিগুড়ি, বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দননগর পুরনিগমে ভোট হবে ২২ জানুয়ারি। সর্বত্রই জোর কদমে প্রচার করছেন প্রার্থীরা। বহু জায়গায় কোভিডবিধি ভেঙে প্রচারের অভিযোগ উঠছে। বিরোধী হোক কিংবা শাসকশিবির এই অভিযোগে সবপক্ষই অভিযুক্ত। একইসঙ্গে জেলাগুলিতে তারস্বরে লাউড স্পিকার বাজিয়ে প্রচার নিয়েও নানা অভিযোগ এসেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে।
কমিশন আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাত ন’টা থেকে পরের দিন সকাল আটটা পর্যন্ত কোনও ভোটপ্রচার করা যাবে না। একইসঙ্গে প্রচারের সময় শব্দমাত্রা ভুলে লাউডস্পিকার বাজানো যাবে না বলেই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শব্দদূষণ রোধে রাজনৈতিক দলগুলিকে সচেতন করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন নতুন করে এই উদ্যোগ গ্রহণ করল। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোনওরকম প্লাস্টিকের ব্যানার-পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। ৭২ ঘণ্টা আগেই ভোটের প্রচারপর্ব শেষ করতে হবে।
গত কয়েকদিনে ভোটপ্রচার নিয়ে নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। নানা বিধি কমিশন নির্দিষ্ট করে দিলেও তা মানা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে। এদিন নির্বাচন কমিশন এরকমই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে শো-কজ নোটিস ধরিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে প্রচারের অভিযোগ উঠেছে। যদিও তারা কোন দলের প্রার্থী বা সদস্য তা কমিশনের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
নিয়ম মোতাবেক, কমিশন কাউকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব তলব করা হয়। সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তিনজনকে শো-কজ করার পরই সব রাজনৈতিক দলগুলি নড়েচড়ে বসেছে এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো সব আইনকানুন, নিয়ম সকলে মানতে শুরু করেছেন।