দাসপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আচমকা মনোনয়ন তুলতে চলে গিয়েছিলেন সিপিএম (CPIM) প্রার্থী। যদিও তাঁর দলের কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, চাপের মুখে পড়েই মনোনয়ন তুলে গিয়েছিলেন দাসপুর-১ ব্লকের নিজ নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোলুড়ি বুথের সিপিএম প্রার্থী সুষমা সাউ। চাপ দিয়েছিল শাসকদলের লোকজন। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল পুলিশ। এদিকে ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্য়াহারের শেষ দিন দেখা যায় দাসপুর বিডিও অফিসের সামনে চলছে তুমুল ধস্তাধস্তি। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে বাম কর্মী-সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে। তারমধ্যেই মনোনয়ন পত্র তোলার চেষ্টা করেন ওই বাম প্রার্থী। যদিও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন তোলার সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি আর তা প্রত্যাহার করতে পারেননি। এরপরই নিজ দলেরই ৬ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ওই মহিলা কর্মী। দেওয়া হয় একাধিক কঠোর ধারা। এ ঘটনার পর কেটেছে কটা দিন। এরমধ্যেই এবার পুরোপুরি সুর বদলে গোটা ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করলেন ওই বাম প্রার্থী। পাশাপাশি তাঁর দাবি, সাদা কাগজে পুলিশ তাঁকে সই করিয়ে নিয়েছিল ওই দিন। সেটাকে হাতিয়ে করেই ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর কমরেডদের।
বর্তমানে সুষমা সাউ বলছেন, “সিপিএমের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলাম বলে তৃণমূলের লোকজন আমাকে জোর করে ঘর থেকে তুলে আনে। জোর করে মনোনয়ন প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে বলে। শেষে ৩টে বেজে গেলে আর আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারিনি। শেষে আমাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেয়। তারপর আমাকে দুটো সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয়।”
দাসপুরের সিপিএম নেতা গুণধর বোস বলছেন, “ওইদিন আমাদের প্রার্থী সুষমা সাউকে পুলিশ জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়াও হয়েছিল। তারপর ওনাকে দিয়ে আমাদের ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করানো হয়েছিল। শুক্রবার ওই মহিলা হাইকোর্টে যান। রাজাশেখর মান্থার এজলাসে গিয়ে রিট পিটিশন দাখিল করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি। তাঁকে সাদা কাগজে লেখানো হয়েছিল। আদালত ১৫ জুলাই পর্যন্ত আমাদের ৬ জনকে ‘নট টু অ্যারেস্টের’ অর্ডার দিয়েছেন।” যদি এ বিষয়ে দাসপুরের তৃণমূলের নেতা কুমারেশ ভূঞ্জা অন্য কথা বলছেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউই জড়িত নয়।