Panchayat Election: রয়েছেন সৌদি আরবে, তাও জমা পড়েছে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন, ‘কী করে হচ্ছে এসব?’ প্রশ্ন বামেদের
Panchayat Election: সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মইনুদ্দিন গাজির সমস্ত নথি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বামেরা। যা নিয়ে জোর শোরগোল মিনাখাঁর রাজনৈতিক মহলে।
মিনাখাঁ: প্রার্থী রয়েছেন সৌদি আরবে। কিন্তু, তাঁর নামে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন জমা পড়েছে বাংলায়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে গিয়েছে বসিরহাটে। সূত্রের খবর, বসিরহাটের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজঝল গ্রামের বাসিন্দা মইনুদ্দিন গাজি। চলতি মাসের ৪ জুন সৌদি আরবে চলে গিয়েছেন তিনি। এদিকে ১৫ জুন ছিল পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমার শেষ দিন। সূত্রের খবর, ওই দিনই কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার নির্বাচনে তাঁর হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তাঁর এজেন্ট। প্রার্থী সশরীরে হাজির না থাকা সত্ত্বেও বিডিও তথা রিটার্নিং অফিসার কী করে তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করলেন এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মইনুদ্দিন গাজির সমস্ত নথি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বামেরা। সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, “মইনুদ্দিনের এই কারচুপির বিরুদ্ধে আমরা বরাবর মিনাখাঁতে অভিযোগ করছিলাম। কীভাবে এখানে আমাদের প্রার্থীদের আটকে দেওয়া হয়েছে, কীভাবে মনোনয়ন পর্বে এখানে অশান্তি করেছে, তাণ্ডব চালিয়েছে তৃণমূল তা বাংলার মানুষ দেখেছে। আমরা চাই এর সর্বোচ্চ তদন্ত হোক আদালতের নির্দেশে। এর সিবিআই তদন্ত হোক। একইসঙ্গে এখানকার প্রার্থীরা যাতে আবার নতুন করে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত সুবিচার করবে। এই প্রত্যাশা আওমাদের আছে। আসলে নির্বাচন কমিশন মাতাল হলে এই ছবি দেখতে পাওয়া যায়।”
অন্যদিকে মিনাখাঁ ব্লকের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা মিলন সর্দার বলেন, “এটা কী হয়েছে আমার ঠিক জানা নেই। তবে এটা বিরোধীদের চক্রান্তও হতে পারে। মইনুদ্দিন গাজি এখন হজে গিয়েছেন। ধর্মপ্রাণ জায়গায় রয়েছেন। এখন এটা নিয়ে দলীয় পর্যায়ে তদন্তে রয়েছে। দল তদন্ত করে যেটা জানতে পারবে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এটা সত্যি না মিথ্যা অভিযোগ এ বিষয়ে এখনই কিছু বলছি না।”