কলকাতা: রাজভবন থেকে ‘সমান্তরাল সরকার’ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের থেকে জ্ঞান নেওয়ার কোনও দরকার রাজ্যপালের নেই।’ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) ভূয়সী প্রশংসাও করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্যপাল যা করছেন, তা নিজের সাংবিধানিক ক্ষমতার মধ্য়েই করছেন। আজ নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে রাজ্যপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, বিগত কিছুদিনে রাজ্যপালের বেশ কিছু ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকে। যেমন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য প্যানেলে তিন জনের নাম থাকা সত্ত্বেও কেন রাজীব সিনহাকেই বেছে নিয়েছেন রাজ্যপাল, তা নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এমনও বলতে শোনা গিয়েছিল, রাজ্যপালের হাতে যখন গোটা বিষয়টি ছিল, তখন তিনি পদক্ষেপ করেননি। তবে আজ রাজ্যপালের গুণগান করতে কোনও খামতি রাখলেন না বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর বক্তব্য, রাজ্যপাল একজন অভিজ্ঞ আমলা। ভীষণ শিক্ষিত এবং একজন লেখকও বটে।
শুধু বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে নয়, অতীতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও যে তিনি কাজ করছেন, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার দাবি, মমতার থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন রাজ্যপালের নেই।
সাম্প্রতিক অতীতে যে রাজ্যপালের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত শুভেন্দুর আপত্তি ছিল, সেকথাও আজ নিজেই জানালেন তিনি। তবে শুভেন্দুর কথায়, রাজ্যপাল বর্তমান সরকারকে অনেক সময় ও সুযোগ দিয়েছে যাতে তারা নিজেদের পরিবর্তন করে। কিন্তু তা হয়নি। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকারের উপর থেকে রাজ্যপালের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। বিরোধী দলনেতার মতে, রাজ্যপাল রিষড়া ও ভাঙড়ে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন, কীভাবে রাজ্যে গণতন্ত্রকে ‘খতম’ করে দেওয়া হয়েছে। তাই রাজ্যপাল এখন গণতন্ত্র রক্ষার জন্য গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন বলেই মত শুভেন্দুর।