সলমন খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে নিয়ে এখনও আলোচনার শেষ নেই। বর্তমানে দুজনেই জীবনের পথই আলাদা কিন্তু তাও তাঁদের নিয়ে আলোচনা শেষ হয় না। ১৯৯৯ সালে ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেট থেকে তাঁদের প্রেমের শুরু। তার পরেই রটে যায় যে গোপনে নাকি তাঁর বিয়ে সেরেছেন। এমনকি অনেকে বলেছিলেন নায়িকা ধর্মান্তরও করেছেন। এমনকি বি-টাউনে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল একটি বিলাসবহুল বাংলোতে বিয়ের আসর বসেছিল তাঁদের। দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিতও হয়েছিলেন নাকি দম্পতিকে আশীর্বাদের জন্য। তবে এই ঘটনা যদিও প্রকাশ্যে আসেনি কোনও দিনই।
উল্লেখ্য, যে সময় ঐশ্বর্যর প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেছিলেন নায়ক তখন তিনি সোমি আলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে সেই পুরনো দিনের ঘটনার কথাই প্রকাশ্য়ে আনলেন ভাইজানের প্রাক্তন প্রেমিকা। তিনি জানিয়েছেন অনেক দিন আগে থেকেই তিনি আঁচ করছিলেন যে কিছু একটা ঘটছে। সলমনের বাড়ি অর্থাত্ গ্যালাক্সির জিমে হঠাত্ই আসতে শুরু করেন নায়িকা। তখনই বিষয়টা ভাল লাগে সোমির। বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর আর সলমনের সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি আসতে চলেছেন।
সঞ্জয়ের ছবির শুটিংয়ের সময় থেকেই দুরত্ব বাড়তে থাকে সলমন এবং সোমির মধ্য়ে। তিনি বলেন, “শুটিংয়ের সময় আমি একবার সলমনকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ও ফোন ধরেনি। তাই তখন আমি সঞ্জয়কে ফোন করি। উনি বলেছিলেন সলমন নাকি তখন শুটিং করছেন। এটা কী করে সম্ভব? পরিচালক ফোন তুলে কথা বলতে পারছেন। এদিকে ও পারছে না।” সে সময় সোমির সঙ্গে লিভইন সম্পর্কে ছিলেন সলমন। তার পরেও তখন ঐশ্বর্যর যাতায়াত বাড়ে ভাউজানের বাড়িতে।