Exclusive: ‘কে এই স্বরূপ বিশ্বাস?’ মন্ত্রীর ভাইকে নিয়ে বিস্ফোরক অপর্ণা সেন

Bhaswati Ghosh | Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Oct 03, 2024 | 6:16 PM

Aparna Sen: সবটা নিয়েই সম্প্রতি একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা সেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে নিয়েও। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে এবার খোলসা করলে তাঁর প্রশ্নের কারণ। কী বললেন টলিপাড়া 'রিনা দি'?

Follow Us

ভাস্বতী ঘোষ

আরজি কর কাণ্ডে যখন তোলপাড় বাংলা, ঠিক সেই সময়ই টলিউডের অন্দরমহলের নানা অন্ধকার দিক লাইম লাইটে। একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। কখনও নারী নিরাপত্তা, কখনও আবার কাজ না পাওয়ার অভিযোগ। আর সবটা নিয়েই সম্প্রতি একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা সেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে নিয়েও। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে এবার খোলসা করলে তাঁর প্রশ্নের কারণ। কী বললেন টলিপাড়া ‘রিনা দি’?

ফেডারেশনের নিয়ম প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে বললেন, ‘আমি টলিউডের সঙ্গে খুব নিবিড়ভাবে যুক্ত নই। আসলে অনেকদিন হয়ে গেল খুব একটা ছবি করি না। আমি যখন ছবি করি, মূলত ক্রিয়েটিভ দিকটাই দেখা আমার কাজ। আমায় হঠাৎ এসে কেউ বলে– ‘দিদি দু’জনকে আরও নিতে হবে, এটা ফেডারেশনের নিয়ম।’ বাজেট বেড়ে যাবে না বলুন তো! উত্তর মেলে– ‘নানা বাজেটে কুলিয়ে যাবে, আপনাকে ওত ভাবতে হবে না।’ এমন কি প্রযোজক নিজেই এই কথা বলেন। আমি ছেড়ে দিয়েছি।

সম্প্রতি স্বরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার ভেঙে বোঝালেন, ‘হঠাৎ স্বরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে আমি কেন আগ্রহ দেখাব। কোনও কারণই তো ঘটেনি। আমি যদি ঘনঘন ছবি করতাম, তাহলে হয়তো জানতে পারতাম। আমার ইন্ডাস্ট্রির সকলের সঙ্গে খুব স্নেহের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে যদি প্রতিদিন দেখা হত, তাহলে হয়তো ওরা এগুলো আমায় বলতো। তাহলে হয়তো জানতে পারতাম। আমি অনেকটা সময় বাইরেই থাকি। মাঝে মধ্যে অনেকেই আমায় জানায় এটা হয়েছে, এটা ঘটছে, সব টুকরো টুকরো তথ্য। আমি তখন জানতে চাই, কে এই ভদ্রলোক, কে স্বরূপ বিশ্বাস। উত্তর এল, ‘অরপ বিশ্বাসের ভাই’। অরূপ বিশ্বাস TMC-র একজন নেতা। আমার অজ্ঞতা যে আমি জানতাম না কে স্বরূপ বিশ্বাস। তারপর ফেসবুকে যখন দেখছি অনেক কিছু লেখা হচ্ছে, সেখানে কিন্তু কেউ স্বরূপ বিশ্বাসের নাম করেননি। তারপর একজন পরিচালক আমায় বেশ কিছু চিঠি পাঠালেন। এই চিঠিগুলো পাওয়ার পর আমি জানতে পারলাম যিনি নিষেধ করছেন, তিনি কে। আমার মনে প্রশ্ন জাগল, স্বরূপ বিশ্বাস, তিনি কোন কারণে চেয়ারম্যান? তিনি কি কোনও টেকনিশিয়ান? আমার সত্যি জানা ছিল না। তারপর শুনলাম তাঁর অ্যাসিস্ট্যান্ট কার্ড আছে। আবার মনে প্রশ্ন জাগল, তিনি কোনও কাজ করেছেন কি? আমি এটা জানতে পারি, কারণ আমি দুজনকে কাজে নিতে চেয়েছিলাম, তখন শুনেছিলাম তাঁদের নেওয়া যাবে না। তাঁদের কার্ড নেই। আর দুটো ছবিতে সহযোগিতা না করতে এই কার্ড পাওয়া যায় না। তারপর আমি জানতে পারলাম তেরো মাসের মধ্যে কাজ না করলে কার্ড খারিজ হয়ে যায়। আবার আমার মনে প্রশ্ন, উনি তেরো মাসে কোনও কাজ কি করেছেন? আমি কাউকে কোনও দোষারোপ করতে চাই না। আমার মনে কিছু প্রশ্ন এসেছিল, আমি শুধু তার উত্তর জানতে চাইছি। কেন আগে আমি প্রশ্ন করিনি? আরে বাবা প্রশ্ন করার মতো কিছু হয়নি তাই। আমি আজও এর উত্তরগুলো জানি না।

টলিপাড়ায় যৌন হেনস্থা প্রসঙ্গও এদিন এড়িয়ে গেলেন না অভিনেত্রী। বললেন, ‘এটা আমি অনেকদিন ধরেই শুনছি যে নানা রকমের যৌন হেনস্থার খবর আসছে। আমি নিজের সময়ও দেখেছি। খুব নাম করা একজন অভিনেত্রীকে নাকের সামনে টাকাটা ধরে দেখানো হচ্ছে, কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না। আমি তাঁকে বলেছিলাম, কাল থেকে তুমি আর এসো না। আমি শুট করব না যতক্ষণ না ওর টাকা দেওয়া হচ্ছে। এইভাবে প্রতিবাদ করেছি আমরা। শুনেছি মুনমুন সেনও করেছিলেন। তবে ফেডারেশনের সঙ্গে কিছু করিনি কখনও। যে কোনও কারণেই হোক আমাকে কেউ এই বিষয় বিরক্ত করেনি।’

তবে কেন এতদিন চুপ? কেন এই বিষয় তিনি আগে প্রশ্ন তোলেননি, উত্তরে অপর্ণা সেন স্পষ্ট করলেন, ‘আমার কেরিয়ার গড়ে উঠেছে টলিউডকে কেন্দ্র করে, আমি এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি, অনেকটা জেনেছি, কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় সেটা শিখেছি। তবে আমার জীবনটা শুধুই টলিউড ঘিরে নয়। আমার অনেক অন্য কাজ আছে। আমি নিত্য বাংলা ছবির জগতে মিশে থাকি না। তবে কাজের সূত্রে কিছু ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে অন্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এটা নিয়ে নয়। তাঁদের হয়তো মনে হয়েছে, কেন রিনাদিকে আবার এটা নিয়ে বলতে হবে, তাই বলেনি হয়তো। এবার মাথা ঘামানোর দরকার হল। তাই মাথা ঘামাচ্ছি।’

ভাস্বতী ঘোষ

আরজি কর কাণ্ডে যখন তোলপাড় বাংলা, ঠিক সেই সময়ই টলিউডের অন্দরমহলের নানা অন্ধকার দিক লাইম লাইটে। একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। কখনও নারী নিরাপত্তা, কখনও আবার কাজ না পাওয়ার অভিযোগ। আর সবটা নিয়েই সম্প্রতি একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা সেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে নিয়েও। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে এবার খোলসা করলে তাঁর প্রশ্নের কারণ। কী বললেন টলিপাড়া ‘রিনা দি’?

ফেডারেশনের নিয়ম প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে বললেন, ‘আমি টলিউডের সঙ্গে খুব নিবিড়ভাবে যুক্ত নই। আসলে অনেকদিন হয়ে গেল খুব একটা ছবি করি না। আমি যখন ছবি করি, মূলত ক্রিয়েটিভ দিকটাই দেখা আমার কাজ। আমায় হঠাৎ এসে কেউ বলে– ‘দিদি দু’জনকে আরও নিতে হবে, এটা ফেডারেশনের নিয়ম।’ বাজেট বেড়ে যাবে না বলুন তো! উত্তর মেলে– ‘নানা বাজেটে কুলিয়ে যাবে, আপনাকে ওত ভাবতে হবে না।’ এমন কি প্রযোজক নিজেই এই কথা বলেন। আমি ছেড়ে দিয়েছি।

সম্প্রতি স্বরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার ভেঙে বোঝালেন, ‘হঠাৎ স্বরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে আমি কেন আগ্রহ দেখাব। কোনও কারণই তো ঘটেনি। আমি যদি ঘনঘন ছবি করতাম, তাহলে হয়তো জানতে পারতাম। আমার ইন্ডাস্ট্রির সকলের সঙ্গে খুব স্নেহের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে যদি প্রতিদিন দেখা হত, তাহলে হয়তো ওরা এগুলো আমায় বলতো। তাহলে হয়তো জানতে পারতাম। আমি অনেকটা সময় বাইরেই থাকি। মাঝে মধ্যে অনেকেই আমায় জানায় এটা হয়েছে, এটা ঘটছে, সব টুকরো টুকরো তথ্য। আমি তখন জানতে চাই, কে এই ভদ্রলোক, কে স্বরূপ বিশ্বাস। উত্তর এল, ‘অরপ বিশ্বাসের ভাই’। অরূপ বিশ্বাস TMC-র একজন নেতা। আমার অজ্ঞতা যে আমি জানতাম না কে স্বরূপ বিশ্বাস। তারপর ফেসবুকে যখন দেখছি অনেক কিছু লেখা হচ্ছে, সেখানে কিন্তু কেউ স্বরূপ বিশ্বাসের নাম করেননি। তারপর একজন পরিচালক আমায় বেশ কিছু চিঠি পাঠালেন। এই চিঠিগুলো পাওয়ার পর আমি জানতে পারলাম যিনি নিষেধ করছেন, তিনি কে। আমার মনে প্রশ্ন জাগল, স্বরূপ বিশ্বাস, তিনি কোন কারণে চেয়ারম্যান? তিনি কি কোনও টেকনিশিয়ান? আমার সত্যি জানা ছিল না। তারপর শুনলাম তাঁর অ্যাসিস্ট্যান্ট কার্ড আছে। আবার মনে প্রশ্ন জাগল, তিনি কোনও কাজ করেছেন কি? আমি এটা জানতে পারি, কারণ আমি দুজনকে কাজে নিতে চেয়েছিলাম, তখন শুনেছিলাম তাঁদের নেওয়া যাবে না। তাঁদের কার্ড নেই। আর দুটো ছবিতে সহযোগিতা না করতে এই কার্ড পাওয়া যায় না। তারপর আমি জানতে পারলাম তেরো মাসের মধ্যে কাজ না করলে কার্ড খারিজ হয়ে যায়। আবার আমার মনে প্রশ্ন, উনি তেরো মাসে কোনও কাজ কি করেছেন? আমি কাউকে কোনও দোষারোপ করতে চাই না। আমার মনে কিছু প্রশ্ন এসেছিল, আমি শুধু তার উত্তর জানতে চাইছি। কেন আগে আমি প্রশ্ন করিনি? আরে বাবা প্রশ্ন করার মতো কিছু হয়নি তাই। আমি আজও এর উত্তরগুলো জানি না।

টলিপাড়ায় যৌন হেনস্থা প্রসঙ্গও এদিন এড়িয়ে গেলেন না অভিনেত্রী। বললেন, ‘এটা আমি অনেকদিন ধরেই শুনছি যে নানা রকমের যৌন হেনস্থার খবর আসছে। আমি নিজের সময়ও দেখেছি। খুব নাম করা একজন অভিনেত্রীকে নাকের সামনে টাকাটা ধরে দেখানো হচ্ছে, কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না। আমি তাঁকে বলেছিলাম, কাল থেকে তুমি আর এসো না। আমি শুট করব না যতক্ষণ না ওর টাকা দেওয়া হচ্ছে। এইভাবে প্রতিবাদ করেছি আমরা। শুনেছি মুনমুন সেনও করেছিলেন। তবে ফেডারেশনের সঙ্গে কিছু করিনি কখনও। যে কোনও কারণেই হোক আমাকে কেউ এই বিষয় বিরক্ত করেনি।’

তবে কেন এতদিন চুপ? কেন এই বিষয় তিনি আগে প্রশ্ন তোলেননি, উত্তরে অপর্ণা সেন স্পষ্ট করলেন, ‘আমার কেরিয়ার গড়ে উঠেছে টলিউডকে কেন্দ্র করে, আমি এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি, অনেকটা জেনেছি, কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় সেটা শিখেছি। তবে আমার জীবনটা শুধুই টলিউড ঘিরে নয়। আমার অনেক অন্য কাজ আছে। আমি নিত্য বাংলা ছবির জগতে মিশে থাকি না। তবে কাজের সূত্রে কিছু ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে অন্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এটা নিয়ে নয়। তাঁদের হয়তো মনে হয়েছে, কেন রিনাদিকে আবার এটা নিয়ে বলতে হবে, তাই বলেনি হয়তো। এবার মাথা ঘামানোর দরকার হল। তাই মাথা ঘামাচ্ছি।’

Next Article