২৫ মে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। অসমের মেয়ে অধুনা কলকাতাবাসী রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। কিন্তু এই ঘটনার পরেই বিভিন্ন মাধ্যমে চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে তাঁদের এই বিয়ে। প্রশ্ন উঠছে তাঁর প্রথম বিয়ে নিয়েও। যদিও এবার সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে এগিয়ে এসেছেন অভিনেতা (Bollywood Actor) নিজেই।
শুক্রবার রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে ভিডিয়ো পোস্ট করেন আশিস বিদ্যার্থী। ‘অ্যান আপডেট অন মাই লাইফ’ শিরোনামে পোস্ট করা ওই ভিডিও বার্তায় অভিনেতা খোলসা করেন অনেক কিছুই। তিনি ভিডিয়োর শুরুতেই বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই আলাদা ভাবে জীবন যাপন করি। জীবনে এক এক জনের এক এক রকম চাহিদা। প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে আসি। সবার জীবনে আলাদা আলাদা সুযোগ থাকে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রেই একটি জিনিস প্রয়োজন বা কমন, সেটি হল খুশি থাকা।’ অভিনেতার কথায় উঠে আসে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী-র প্রসঙ্গও। আশিস বলেন, “প্রায় ২২ বছর আগে আমার জীবনে পিলু অর্থাৎ রাজশী আসে। আমরা এতটা সময় একসঙ্গে বন্ধুর মতো,স্বামী-স্ত্রী হিসেবে অনেকটা পথ পার করেছি। এর মধ্যেই আমাদের জীবনে অর্থ (সন্তান) আসে, বড় হয়ে এখন কলেজে পড়ছে। কিন্তু ২২ বছর পর শেষ দু-আড়াই বছরে আমরা বুঝতে পারি ভবিষ্যত ভাবনা চিন্তায় আমাদের মধ্যে ফারাক তৈরি হয়েছে। বুঝতে পারি আমাদের মধ্যে মনের মিল হচ্ছে না। মতভেদ আসছে। আমরা চেয়েছিলাম বরাবর নিজেদের জন্য খুশি থাকতে, অন্যদের জন্য বা অন্যদের দেখানোর জন্য নয়। তাতে আসলে খুশিতে নয় দুঃখেই বাঁচতাম। এর পরেই আমরা একমত হয়ে আলাদা ভাবে আগামীতে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিই। এই বিষয়ে আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলি। আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলি। আমাদের পুত্র অর্থের সঙ্গেও আলোচনা করেই আলাদা রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিই।”
এরপরেই অভিনেতা বলেন তিনি যতটুকু নিজেকে চিনেছেন তাতে বুঝেছেন তিনি একা থাকতে পারেন না। তাঁর জীবনে সঙ্গীর প্রয়োজন আছে। তাই তাঁর খোঁজে তিনি সব সময় ছিলেন। তাঁর কথায় উঠে আসে বর্তমান স্ত্রী রূপালির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘আমি পৃথিবীর কাছে প্রার্থনা করছিলাম এমন এক সঙ্গীর জন্য। অবশেষে একবছর আগে পরিচয় হয় রূপালির সঙ্গে। কিছুদিন সময় কাটানোর পর এবং কথা বলে বুঝতে পারি আমি ওঁর সঙ্গেই বাকি জীবন কাটাতে চাই। আমি বিয়ে করতেই চেয়েছিলাম । আমার প্রস্তাবে রূপালি রাজি হয়। আমরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই।’ আশিস আরও বলেন, ‘রূপালির বয়স ৫০, আমার ৫৭। আমার বয়স ৬০ নয়। তবে খুশি থাকার কোনও বয়স হয় না। নিজের খুশির জন্য যে কেউই আমার মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যে কারোর জীবনেই এরকম কিছু ঘটতে পারে। তাই একে অপরের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান, এইটুকুই বলব।’
আশিসের এই ভিডিয়ো সামনে আসার আগে অবশ্য প্রথম স্ত্রীর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নাম না করে তিনি লেখেন, ‘যারা তোমার কাছের মানুষ তাঁরা কখনই এমন কাজ করবে না যাতে তোমার খারাপ লাগে। কখনও জানতে চাইবে না , তাদের কাছে তোমার মূল্য ঠিক কতটা।…আজ হয়ত সমস্ত দুর্ভাবনা এবং সন্দেহ দূর হয়েছে। সবকিছু নিশ্চয় আজ স্পষ্ট ভাবে ধরা দিয়েছে। জীবনে শান্তি ও স্থিতি ফিরে আসুক।’