আরাধ্যা বচ্চন– জন্ম হয়েছে সোনার চামচ মুখে দিয়েই। বচ্চন পরিবারের আদরের নাতনি সে। ছোট থেকেই লাইমলাইট ঘিরে থাকে তাকে। উইকিপিডিয়া বলছে আর কিছু মাস পরেই ১৩ বছর পূর্ণ করবে সে। কিন্তু জন্মের পর থেকেই তাঁকে ঘিরে বিশ্ব সুন্দরী মায়ের এই কাজ কিছুতেই পছন্দ নয় নেটিজেনদের একটা বড় অংশের। আগেও ট্রোল হয়েছেন বহুবার তবে সম্প্রতি একই কাজের জন্য আবারও ট্রোল্ড হতে হল তাঁকে। কী সেই কাজ? যখনই দেখা যায় মেয়ের হাত ধরে শক্ত করে ধরে থাকেন ঐশ্বর্যা। কখনওই তাঁকে হাত ছাড়তে দেখা যায় না। কিন্তু কেন? অনেকেরই প্রশ্ন, “আরাধ্যা কি হাঁটতে পারে না?” সম্প্রতি এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন ঐশ্বর্যা। পাপারাৎজি ঘিরে ধরে তাঁদের। পাপারাৎজির দিকে তাকিয়ে পাল্টা অভিবাদনও জানান ঐশ্বর্যা। কিন্তু সেখানেও শক্ত করে ধরা ছিল মেয়ের হাত। এরপরেই মন্তব্য এসেছে, “ওকে স্বাবলম্বী হতে দিন। বয়স বাড়ছে, ওকে সুযোগ দিন দুনিয়ার সঙ্গে পরিচিত হতে।” ট্রোল হয়েছে আরাধ্যার চুলের কাটিং নিয়েও। এই ১৩ বছরে আরাধ্যাকে সব সময়ই দেখা যায় চাইনিজ হেয়ার কাটে। এক নেটিজেনের মন্তব্য, “ওর কপাল দেখা যায় না কেন?”
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয় আরাধ্যা বচ্চন। এক ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মিথ্যে রটনার জন্য জানায় অভিযোগ। আদালত ব্যবস্থাও নেয়। এর আগে বহুবার তাকে ও ঐশ্বর্যাকে নিয়েও রটেছে নানা মিথ্যে খবর, এমনকি রটেছে মৃত্যুসংবাদও। বাবা অভিষেকও চুপ করে থাকেননি। জানিয়েছিলেন, তিনি পাবলিক ফিগার, তাই তাঁকে ট্রোল করলে তিনি মেনে নেবেন। কিন্তু তাঁর মেয়ে নন। তাঁর কথায়, “ফেয়ার গেম আমি পাবলিক ফিগার। তাই মেনে নিচ্ছি। আমার মেয়ে মানতে বাধ্য নয়।” তিনি আরও জানান, এবার থেকে যে বা যারা তাঁর মেয়েকে ট্রোল করবে তিনি তাঁদের ছেড়ে কথা বলবেন না। যদি কিছু বলতেই হয় ওই সব ট্রোলারদের তাঁরা যেন মুখের সামনে এসে বলেন। কিন্তু তাও ট্রোলিং থামেননি। বচ্চন পরিবারকে নিয়ে সাধারণের আগ্রহও কমেনি এতটুকুও।