বিপাকে পড়তেই উলটপূরাণ অমিতাভ বচ্চনের গলায়। বাইকে হেলমেট না পরে ছবি দিতেই তুলোধনা করেছিল নেটিজেন। খবর পৌঁছেছিল মুম্বই পুলিশ পর্যন্তও। এবার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই অমিতাভ জানালেন, তিনি বাইকে উঠে ছবি দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কোথাও যান নি। তাঁর দাবি, বোকা বানানোর জন্যই নাকি ওই ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। নিজের ব্লগে অমিতাভ লেখেন, “আসল ব্যাপারটা হল এটা একটা শুটিংয়ের অংশ। রবিবার ছিল। শুটের জন্য ব্যালারড এস্টেটের একটি গলিতে অনুমতি নেওয়া ছিল। রবিবার ছিল বলে সব অফিসও বন্ধ ছিল। কোনও ট্র্যাফিকও ছিল না। যে গলিতে শুটিং হচ্ছিল তা মাত্র ৩০ থেকে ৪০ মিটার। এই যে পোশাকটা পরে আছি সেটা কিন্তু ওই ছবিরই। আর যার বাইকে বসে আছি তিনি শুটিং টিমেরই এক সদস্য। আমি মজা করেছি, বোকা বানিয়েছি। কোথাও যাইনি বাইকে করে। কিন্তু সবাইকে বলেছি সময় বাঁচানোর জন্য।” এখানেই না থেমে তিনি আরও যোগ করেন, “সবার চিন্তার জন্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আমায় ট্রোল করার জন্যও। আসলে সব কিছু হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল। সবাইকে সরি। একটা ভুল ধারণা দেওয়ার জন্য। আমি ট্র্যাফিকের কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করিনি।”
ঠিক কী ঘটেছিল যে অমিতাভকে এত বড় পোস্ট লিখতে হল? বাইকে এক ব্যক্তির পিছনে বসে ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “এই রাইডের জন্য ধন্যবাদ বন্ধু। আমি আপনাকে চিনি না। কিন্তু আপনি আমাকে সময়ের মধ্যে কাজের জায়গায় পৌঁছে দিলেন। অনেক তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেলাম ট্র্যাফিক জ্যামকে টেক্কা দিয়ে।” তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তির পরিচয় তিনি না জানলেও ‘দুঃসময়’-এ তিনি যে সাহায্য করেছেন সেই কারণে ওই ব্যক্তির কাছে তিনি ঋণী। ঘটনাটি চোখে পড়ে নেটিজেনদের একটা বড় অংশের। মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করে অনেকেই লেখেন, “সাধারণ যখন এমনটা করেন আপনারা মোটা টাকা জরিমানা করেন। আর এ ক্ষেত্রে কি তারকা বলে তাঁরা ছাড় পেয়ে যাবেন?” লাগাতার অভিযোগের পর উত্তর দেয় মুম্বই পুলিশও। তাদের তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই ঘটনাটি মুম্বই ট্র্যাফিক শাখার কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তারাই ব্যবস্থা নেবে। এর পরেই এ দিন ব্লগে ওই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিগ-বি। নেটিজেনদের কটাক্ষ ‘ঠ্যালার নাম বাবাজি’।