Aryan Khan: জেলের পরিবেশে খাপ খাওয়াতে অসুবিধে, ‘ভাল মানুষ’ হয়ে ওঠার প্রতিজ্ঞা আরিয়ানের

TV9 Bangla Digital | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Oct 18, 2021 | 3:15 PM

নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর অলাভজনক সংস্থার তত্ত্বাবধানে জেলের ভিতরেই নিয়মিত কাউন্সেলিং হচ্ছে আরিয়ানের। তিনি নাকি ইতিমধ্যেই এনসিবি কর্মকর্তাদের কাছে ভাল মানুষ হয়ে ওঠার প্রতিজ্ঞাও করেছেন।

Aryan Khan: জেলের পরিবেশে খাপ খাওয়াতে অসুবিধে, ভাল মানুষ হয়ে ওঠার প্রতিজ্ঞা আরিয়ানের
আরিয়ান খান।

Follow Us

মুম্বইয়ে বিলাসবহুল প্রমোদ তরণীতে মাদক পার্টি থেকে আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই চর্চায় টিনসেল টাউন। বান্দ্রায় মন্নতের পেল্লায় লোহার গেটের সামনে ভিড়টাও এখন যেন একটু বেড়েছে। আর শাহরুখ পুত্র আরিয়ান এখন মন্নতের হাই প্রোফাইল জীবন ছেড়ে রাত কাটাচ্ছেন মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে। সেখানে তাঁর পরিচয় আরিয়ান খান নয়। সেখানে তিনি বিচারাধীন বন্দী নম্বর এন৯৫৬।

নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর অলাভজনক সংস্থার তত্ত্বাবধানে জেলের ভিতরেই নিয়মিত কাউন্সেলিং হচ্ছে আরিয়ানের। তিনি নাকি ইতিমধ্যেই এনসিবি কর্মকর্তাদের কাছে ভাল মানুষ হয়ে ওঠার প্রতিজ্ঞাও করেছেন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছলদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারও করেছেন আরিয়ান।

তিনি শাহরুখ পুত্র। তাই নিরাপত্তার ব্যাপারটিও মাথায় রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আরিয়ানকে পৃথক সেলে রাখা হয়েছে। তবে জেলের পরিবেশে খাপ খাওয়াতে নাকি বেশ অসুবিধে হচ্ছে তাঁর। জেলের খাবারেও অরুচি। আর সে কারণেই তাঁর শরীর ও স্বাস্থ্যের দিকেও কড়া নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারও জামিন পাননি শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান। আপাতত ২০ অক্টোবর অর্থাৎ আগামী বুধবার পর্যন্ত তাঁকে থাকতে হবে জেল হেফাজতেই। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২০ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

২৩ বছর বয়সি আরিয়ান খানকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার পর আর্থার রোড জেলে পাঠানো হয়েছিল। মুম্বইয়ের আদালত গতকাল আবারও তাঁর জামিনের জন্য সওয়াল করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। গ্রেফতারি পর প্রায় দুই সপ্তাহে এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়েছে।

নারকোটিকস কন্ট্রোল বিউরো (NCB)-র তদন্তে মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খান। তদন্তকারী আধিকারিকদের অভিযোগ, শাহরুখ পুত্র মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেছিলেন এবং ” মাদকদ্রব্যের অবৈধ কারবারের জন্য বিদেশে এমন কিছু ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল যারা আন্তর্জাতিক ড্রাগ নেটওয়ার্কের অংশ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে”।

এদিকে সম্প্রতি এনসিবি আধিকারিকদের উপর কেউ গোপনে নজর রাখছে বলেই শোনা যাচ্ছিল। এনসিবির জ়োনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে এবং বাকি আধিকারিকদের গতিবিধির উপরেও কেউ গোপনে নজর রাখছিল বলে খবর। এনসিবি সূত্রে এমনটাই শোনা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, কর্ডেলিয়া প্রমোদ তরণীতে মাদক কাণ্ডে শাহরুখ তনয়ের গ্রেফতারির পর থেকে আলাদা মাত্রা পেয়েছে মামলাটি। বলিউড তারকা থেকে শুরু করে রাজনীতিকরা, অনেকই শাহরুখের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

Next Article