সাল ১৯৮৮। মুক্তি পেয়েছে জেকে বিহারির ছবি ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’। ওই ছবি দিয়েই বলি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন সলমন খান। তারপর কেটেছে বহু বছর। ভাইজান আজ সুপারস্টার। এক ডাক দুনিয়া চেনে তাঁকে। কিন্তু জানেন কি, ৩৩ বছর আগে এক পরিচালকই ভাইজানকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন সে যদি স্টার হয় তবে পরিচালনা ছেড়ে দেবেন তিনি। কে সেই পরিচালক? সত্যিই কি পরিচালনা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি?
উত্তর ফাঁস করেছেন নিজেই। জানিয়েছেন সেই পরিচালক আর কেউ নন তাঁর ডেবিউ ছবিরই পরিচালক জেকে বিহারি। সলমন জানিয়েছে তাঁকে কাস্ট করার পর নাকি এমনটাই বলেছিলেন তিনি। যদিও প্রযোজক সুরেশ ভগতের তাঁর উপর সম্পূর্ণ আস্থা ছিল বলে জানিয়েছেন সলমন। তাঁর কথায়, “বিহারিজি তখন বলেছিলেন সলমন যদি কোনওদিন হিরো হতে পারে আমি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেব। উনি কথা রেখেছেন। ইণ্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছেন।” স্বভাবসিদ্ধ হিউমারে পরিচালককে কি ব্যঙ্গ করলেন ভাইজান?
সে যাই হোক, ওই ছবিতে সলমন কিন্তু হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করেননি। হিরো ছিলেন ফারুক শেখ। আর হিরোইন ছিলেন রেখা। সলমন অভিনয় করেছিলেন ফারুকের ভাইয়ের চরিত্রে। তাঁর চরিত্রের নাম ছিল বিক্রম ভান্ডারি। গড়পড়তা পারিবারিক ছবি। শাশুড়ি চান ছেলে তাঁর ইচ্ছেতে বিয়ে করবেন। ওদিকে ছেলে বিয়ে করে আনেন নিজের পছন্দমতো এক গ্রামের মেয়েকে। এই নিয়েই সমস্যা-কূটকচালি। ছবিটি বক্স অফিসে মোটামুটি সাফল্য নিয়ে এসেছিল। কিন্তু নিশ্চুপে তৈরি হয়ে গিয়েছিল ভাইজানের কেরিয়ার। যেই কেরিয়ার আজও অক্ষুণ্ণ।
রেখার সঙ্গেই ডেবিউ করেছিলেন সলমন। আরও একবার রেখার সঙ্গেই দেখা যাবে তাঁকে। তাও আবার সলমন খানের শো বিগবসে। সম্প্রতি একটি প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে। তা থেকেই জানা যাচ্ছে এমনটা। যে প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে সঞ্চালক সলমন খান এক জঙ্গলের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। আচমকাই এক গাছের সামনে হাজির হন তিনি। সেই গাছে সবুজ পাতা নেই। তার রকম বাকি গাছেদের থেকে অনেকটাই আলাদা। সেই গাছ আবার গানও করে। রেখার আইকনিক ছবি ‘উমরাও জান’-এর ইয়ে কাহা হ্যায় দোস্তো… শোনা যাচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখার গলাতেই। হ্যাঁ, ওই গাছটিরই ভয়েস ওভার করেছেন রেখা। সলমন গাছটির নাম দিয়েছেন, ‘বিশ্বসুনট্রি’।
প্রোমোতে ওই গাছ ও সলমনের কথোপকথন অনুরাগীদের উত্তেজনা। আর রেখা? তাঁর এই নতুন যাত্রা নিয়ে তিনি কী বলছেন? তাঁর কথায়, “বিগবসে সব রয়েছে। ড্রামা, অ্যাকশন, মজা… উত্তেজনা থেকে শুরু করে সব। জীবনের সমস্ত অনুভূতির ক্র্যাশ কোর্স করা যাবে এখানে। এর চেয়ে ভাল পোয়েটিক জাস্টিস আর কী বা হতে পারে?” তিনি যোগ করেন, “একেবারে অন্য অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। স্পিকিং ট্রির ভয়েস ওভার নিঃসন্দেহে দারুণ অভিজ্ঞতা। সলমন আবার ওকে ভালবেসে নাম দিয়েছে বিশ্বসুনট্রি। এমন একটি গাছ যা জ্ঞান, আশা ও বিশ্বাসে ভরা।”
আরও পড়ুন: মেঘলা দুপুরে শহরের হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হল নুসরতের সন্তান
আরও পড়ুন: কাছে থাকলে তোমাকে জড়িয়ে ধরতাম: নুসরতের মা হওয়ার আনন্দে ‘বনুয়া’ মিমি