বিনোদন জগতের সঙ্গে দুর্নীতির যোগ নতুন নয়। সে টলিউড হোক কিংবা বলিউড। গ্যাংস্টারদের সঙ্গে নায়িকাদের প্রেমের কিসসাও বহু পুরনো। চিনে নেওয়া যাক এমন ৭ নায়িকাকে, গ্যাংস্টারের জীবনে জড়িয়ে পড়ে যাদের কেরিয়ার হয়েছিল টালমাটাল, হয়েছিলেন গায়েব!
৯০ দশকের লাস্যময়ী নায়িকা মমতা কুলকর্ণি। ১৯৯৩ সালে ডেবিউ হয়েছিল তাঁর। সে সময় বলিউড নিয়ন্ত্রিত হত মাফিয়াদের দ্বারাই। এ হেন মমতা সে সময় প্রেমে পড়েন ছোটা রাজনের। যদিও সেই প্রেম ভেঙে যায়। ওদিকে মমতাও হয়ে যান বিনোদন জগৎ থেকে গায়েব। পরবর্তীতে তিনি আর এক ড্রাগ মাফিয়ে ভিকি গোস্বামীকে বিয়ে করেন।
৮০ -র দশকের হট নায়িকা মন্দাকিনীকে কে না চেনেন? দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর নাম জড়াতেই কেরিয়ার শেষ হয়ে যায় এই অভিনেত্রীর। হারিয়ে যান ছবির দুনিয়া থেকে। পরবর্তীতে এক সাধুকে বিয়ে করেন মন্দাকিনী।
আবু সালেম ও মনিকা বেদীর প্রেমের কথা সকলেরই জানা। আবুর সঙ্গে প্রেমের কারণে ত্যাগ করেছিলেন দেশ। শোনা যায়, আবুকে বিয়ে করার জন্য ধর্মও পরিবর্তন করেন তিনি। তবে জাল পাসপোর্ট তৈরি করে পর্তুগালে ঢোকার কারণে জেল হয় দু'জনেরই। পরে যদিও ছাড়া পান মণিকা।
বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিয়ালক এক আসিফের মেয়ে হীনা কওসর প্রেমে পড়েন গ্যাংস্টার ইকবাল মিরচির। তাঁরা বিয়েও করেন। তবে অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন হীনা। ২০১৩-তে মৃত্যু হয় ইকবালের। শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর পাশেই ছিলেন হীনা।
গ্যাংস্টার হাজি মস্তান প্রেমে পড়েছিলেন মধুবালার। তিনি সাড়া দেননি। সেই কারণেই হাজি বিয়ে করেন মধুবালার মতো দেখতে সোনা মস্তান মির্জাকে। সোনাও এর পর গায়েব হয়ে যান বিনোদন জগৎ থেকে।
সুপার গ্যাংস্টার প্রেমে পড়েছিলেন জ্যাসমিন ধুনার। আর তাঁর প্রেমে পড়াই হল কাল! 'ভিরানা'র সেই সুন্দরী ভূতের কেরিয়ার শেষ হয়ে যায় এই প্রেমে পড়েই।
শোনা যায় মুম্বই হামলায় হাত ছিল পাকিস্তানের অভিনেত্রী অনিতা আয়ুবের। আর এই অনিতারই প্রেমে পড়েছিলেন দাউদ। এও শোনা যায়, একবার এক পরিচালক অনিতাকে তাঁর ছবিতে নিতে চাননি। পরের দিন সেই পরিচালকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। নেপথ্যে ছিল এই 'প্রেম'ই?