এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের হয়ে একমাত্র জুরি (বা বিচারক) ছিলেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। কানের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি সারা দেশকে গর্বিত করেছে। কেবল তাই নয়, কানের বহুচর্চিত রেড কার্পেটে তিনি হেঁটেছেন স্বমহিমায়। কানের প্রত্যেকটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি নিজের বক্তব্য রেখেছেন, আলোড়িত করেছেন সকলকে। ‘দিপু’র এই জার্নি শেষ হয়েছে। দেশে ফিরেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু কানের মাটি ছাড়ার সময় থেকেই মনকষ্টে ছিলেন ‘পিকু’। তিনি সেই কথা একটি ভিডিয়োতে ব্যক্ত করেছিলেন।
কী আছে সেই ভিডিয়োতে?
দীপিকা জানিয়েছিলেন, “আমরা কান ছাড়লাম। দারুণ সময় কাটিয়েছি। কিন্তু রওনা হওয়ার দিন সকলে খুব মনকষ্টে ছিলেন।” মজা করে তৈরি করা ভিডিয়োতে দীপিকারা সকলেই কাঁদছিলেন। সেই কান্নাকাটির ভিডিয়োতেই হাসির রোল পড়ে যায়।
স্ত্রী কানের জুরি। আনন্দে আর মাটিতে পা পড়েছিল না রণবীর সিংয়ের। তিনি আগেই পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলেছিলেন, “ও শক্তিশালী। ওর পা মাটিতে থাকে। স্বাধীনভাবে নিজের জীবন কাটায়। বিয়ের পর ওকে আরও ভালভাবে জানতে পারছি আমি। দারুণ মানুষ আমার দিপু। টাচউড! যত বেশি ওকে কেউ জানবে, বুঝবে কতখানি খাঁটি মানুষ ও। আমি সৌভাগ্যবান। আমি ধন্য ওকে পেয়ে।”
এবারের কানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আটজন জুরি সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন দীপিকা। প্রথমদিকেই জুরি মিটিংয়ে দীপিকাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ছবি বিচার করার বিষয়টি কি দীপিকার কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? সেই সময় দীপিকা উত্তর দেন, “আমার মনে হয়, আমরা সকলেই জানি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।… আমরা দর্শক হিসেবেই নিজেদের মনে করব কিংবা সেই কমবয়সি শিশুটির মতো হয়ে যাব যে ভালো ছবি দেখতে দেখতে বড় হয়েছে ও অনুপ্রেরণা পেয়েছে।”
উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন দীপিকা। বিদায়বেলাতেও দীপিকা এলেন স্নিগ্ধ শরতের বিকেলের মতো। অন্তিম দিনে উৎসবে দীপিকা প্রবেশ করেন সন্দীপ খোসলার রাফলড সাদা শাড়ি পরে। যেন ভারত থেকে ভেসে যাওয়া একখণ্ড সাদা মেঘ ঢুকল কান চলচ্চিত্র উৎসবে।