২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল করণ জোহর পরিচালিত এবং আলিয়া ভাটের ডেবিউ ছবি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’। সেই ছবিতে আলিয়ার সঙ্গে দু’জন অভিনেতাও ডেবিউ করেছিলেন। একজন ডেভিড ধাওয়ানের পুত্র বরুণ ধাওয়ান। অন্যজন সিদ্ধান্ত মালহোত্রা। এই দুই অভিনেতার একজনও চাননি আলিয়া সেই ছবিতে কাজ করুন। আলিয়াকে তাঁরা ধর্তব্যের মধ্যেই ধরেননি প্রথমে।
করনের অফিসে প্রথম আলিয়ার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বরুণ এবং সিদ্ধার্থর। অভিনেত্রীকে দেখার পর প্রথমেই তাঁরা বলেছিলেন, ‘স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’-এ সানায়ার চরিত্রের জন্য তিনি সঠিক নির্বাচন নন। কিন্তু নাছোড়বান্দা করণ আলিয়া ছাড়া অন্য কাউকেই কাস্ট করতে চাননি। এবং তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেননি বরুণ-সিদ্ধার্থ।
‘কফি উইথ করণ’ সিজন ৮-এ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং বরুণ ধাওয়ান। তখনই আলিয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। হাটে হাঁড়ি ভাঙেন করণ। এবং বলেন, “তোমরা কেমনভাবে আলিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলে। এখন অস্বীকার করো না। কিন্তু তোমরা অন্য মেয়েদের ছবি পাঠাতে আমাকে।”
আলিয়াকে কাস্ট করার তিন মাস পর একটি ফটোশুট হয়েছিল। সেই ফটোশুটে উপস্থিত ছিলেন করণ এবং সিদ্ধান্ত দু’জনেই। কারওর সঙ্গে কথা বলেননি আলিয়া। শুট শেষ করে চলে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বরুণ বলেছিলেন, “কম কথা, কাজ বেশি। সেদিনও তাই করেছিলেন আলিয়া।”
তারকা সন্তানদের মধ্যে অন্যতম সফল অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। অভিনেত্রী সোনি রাজদান এবং পরিচালক মহেশ ভাটের কন্যা তিনি। কিন্তু কোনওদিন বাবা-মায়ের পরিচয়ে বিখ্যাত হননি। ইন্ডাস্ট্রির সন্তান হওয়া সত্ত্বেও নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন শাহরুখ খান থেকে অমিতাভ বচ্চন সকলেই। তিনি বলিউডের কুইন।