নিভৃতবাসে রয়েছেন অর্জুন রামপাল। গত সপ্তাহ থেকে একেবারে আলাদ করে রেখেছন নিজেকে। কোয়ারন্টাইনের দ্বিতীয় দিনের ছবিও পোস্ট করেন অর্জুন। দুটি ছবির একটিতে দেখা যাচ্ছে কোলের উপর বই নিয়ে বসে আছেন রামপাল। হাতে হলুদ ব্যান্ড। বিয়ার্ড লুকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন একটু দূরে। আরেকটি ছবিতে রয়েছে কোলের উপর রাখা লাল মলাটের এক বই। গোটা ছবিটি হালকা অফ ফোকাসে তোলা। ক্যাপশনে অর্জুন লেখেন ‘দ্বিতীয় দিন, #কোয়ারেন্টাইন #বই #ভাবনা #ধ্যান #লেখা #চিনুন আমাকে প্রত্যেকে যারা বাইরে আছেন স্মার্ট থাকুন, নিরাপদে থাকুন’।
বই পড়া বোধহয় শেষ করে ফেলেছেন অর্জুন। কোয়ার্নাটইনের চতুর্থ দিনে আঙুলের ফাঁকে দেখা গেল তুলি, সামনে ক্যানভাস। দুটি ছবি পোস্ট করেছেন ‘ড্যাডি’ অর্জুন। ঠোঁটের কাছে আঙুল রেখে ক্যানভাসে তাকিয়ে ভাবছেন তো অন্যটিতে তুলিতে রঙ মাখিয়ে রঙিন করচেন ক্যানভাস। নিজের শিল্পীসত্বার জানলা এভাবেই খুলছেন অর্জুন।
ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘নতুন কিছুর চেষ্টা করছি’। তবে এই পোস্টটিও বাঁকা চোখে দেখছেন নেটিজেনের কেউ কেউ। আইসোলেশনে রয়েছেন অর্জুন, কিন্তু তাঁকে ছবিগুলো তুলে দিচ্ছেন কে? তাহলে কি তিনি নেই আইসোলেশনে? এমনই এক প্রশ্ন করে বসলেন নেটিজেন। লিখলেন—‘কে তুলে দিল?’ তবে জনৈকের প্রশ্নে সটান জবাব অর্জুনের। লিখলেন, ‘টাইমারে বসিয়ে আমি, নতুন নতুন বহুদিক আবিষ্কার করছি।’
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলে অর্জুন লেখেন, ‘আমি করোনা পজিটিভ। যদিও আমি অ্যাসিম্পটমেটিক, আমি নিজেকে আলাদা করে রেখেছি এবং হোম কোয়ারন্টাইনে রয়েছি। চিকিৎসকের পরামর্শও নিচ্ছি। যা যা নিয়ম মেনে চলা উচিত, সব কিছুই মেনে চলছি। যাঁরা বিগত ১০ দিনে আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরা নিজেদের যত্ন নিন এবং সাবধানতা অবলম্বন করুন। এই সময় খুবই ভয়ের। তবে আমরা যদি এই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সাবধান হতে পারি, তবে দীর্ঘকালীন সময়ে লাভ আমাদেরই হবে। একসঙ্গে আমরা করোনা হারাতে পারি এবং আমরা তা করব’। ‘ধকড়’ এবং ‘দ্য রেপিস্ট’-এর মতো দু’দুটো বড় প্রোজেক্ট রয়েছে অর্জুনের ফিল্মি পাইপলাইনে ।