জানেন কি ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর বিয়ের কাহিনি যে কোনও চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকেও হার মানিয়ে দেবে। বিভিন্ন সিনেমার শুটিংয়ের সময় এদিক- ওদিক চলে যেতেন হেমা-ধর্মেন্দ্র। সময় কাটাতেন নিজেদের মতো। বিবাহিত ধর্মেন্দ্র তখন হেমার প্রেমে হাবুডুবু খেতেন। বিষয়টা একেবারেই পছন্দ ছিল না হেমার বাবা-মায়ের। বিবাহিত পুরুষকে হেমার জীবন থেকে চিরকালের মতো দূরে সরাতে চেয়েছিলাম তাঁরা। সেই সময় বেশকিছু ছবিতে হেমা অভিনয় করছিলেন জিতেন্দ্রর সঙ্গে। জিতেন্দ্রকে খুবই পছন্দ করতে হেমার বাবা-মা। এমনকী, জিতেন্দ্রর বাড়িতেও হেমাকে সকলে বধূ হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। তাঁদের দুই পরিবারের মতেই বিয়ে ঠিক হয় হেমা-জিতেন্দ্রর। এবং সেই বিয়ে ভাঙতেই বিমানে চেপে উড়ে এসেছিলেন ধর্মেন্দ্র এবং জিতেন্দ্রর তৎকালীন প্রেমিকা।
বিবাহ বাসর প্রস্তুত ছিল সেদিন। বরমাল্য হাতে মণ্ডপে কনের বেশে বসেছিলেন হেমা মালিনী। হাজির ছিলেন জিতেন্দ্রও। হঠাৎই ধর্মেন্দ্রর আবির্ভাব ঘটে সেখানে। হেমার বাবা বচসা শুরু করেন ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে। তিনি ধর্মেন্দ্রকে বলেন, “তুমি বিবাহিত পুরুষ। বেরিয়ে যাও বিবাহ আসর থেকে।” এই গন্ডগোল দেখে হেমা চিন্তাভাবনা করার সময় চেয়ে নিয়েছিলেন জিতেন্দ্রর পরিবারের থেকে। তা দেখে একটুও সময় নষ্ট না করে জিতেন্দ্রর পরিবার বরযাত্রী নিয়ে ফেরত গিয়েছিল। এমন আচরণের জন্য হেমা চোটে গিয়েছিলেন ছিলেন ধর্মেন্দ্রর উপর। আরও বেশি কাজ করতে শুরু করেছিলেন জিতেন্দ্রর সঙ্গে।
হেমাকে না পেয়ে বুকে পাথর চাপা দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। মদ্যপানে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় হেমা বুঝেছিলেন ধর্মেন্দ্রর কষ্ট। শেষমেশ ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করতে রাজিও হয়েছিলেন তিনি। প্রথম স্ত্রী উপস্থিত থাকাকালীন দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু কোনও স্ত্রীকেই অমর্যাদা করেনি তিনি। শোনা যায়, হেমাকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান এশা এবং অহনা। ধর্মেন্দ্রর পিতৃপরিচয় পেয়েছেন তাঁরা। দুই বোনের থেকে নিয়মিত রাখিও পড়েন ধর্মেন্দ্র কমপক্ষে দুই পুত্রসন্তান সানি এবং ববি।