টিনএজার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন জয়া বচ্চন। অমিতাভ বচ্চনকে যখন তিনি বিয়ে করেন সে সময় জয়া ছিলেন অমিতাভের থেকে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত। কেরিয়ার শুরু করেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান তিনি। তবে অভিনেত্রী হওয়ার পর তাঁকে যা যা সহ্য করতে হয়েছে তা ছিল কল্পনারও অতীত। আউটডোর শ্যুটে ছিল না শৌচাগার। পিরিয়ডসের সময় পড়তে হতো চরম বিড়ম্বনায়। নাতনি নভ্যা নভেলি নন্দার পডকাস্টে এমনই সব কথা শেয়ার করেছেন জয়া। জানিয়েছেন, এমন অনেক দিন হয়েছে শুটিং স্পটের পিছনে ঝোপের আড়ালে গিয়ে বদলাতে হয়ে স্যানিটারি প্যাড। আউটডোরে বাথরুম! এ ধারনাই তখন ছিল না কারও।
তাঁর কথায়, “পর্যাপ্ত পরিমাণে শৌচাগাড় ছিল না। এত অসুবিধে হত যে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সারাদিনে ৩/৪টে প্যাড ব্যবহার করলেও ফেলার জায়গা ছিল না। প্লাসিক ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে হত। বাড়িতে গিয়ে তা ফেলতে হতো।” নাতনিকে তাঁর প্রশ্ন, “৩/৪টে স্যানিটাই টাওয়াল পরে কাজ করার বিড়ম্বনা কি তুমি বুঝতে পারছ? আর তা ছাড়া এখনকার মতো উন্নত মানে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়াও যেত না তখন। এত খারাপ অবস্থা হত যে বলে বোঝানো যাবে না।” আর পিরিয়ড চলাকালীন ছুটি? সে সব ছিল সোনার পাথরবাটি! শুধু ছেলেরাই বা কেন? মেয়েরাও অনেক সময় ছিলেন ‘পিরিয়ডস কালীন ছুটি’ বিরুদ্ধে। এভাবেই চলত শুটিং। তবে এখন সবটাই আলাদা। সকল তারকার জন্যই আয়োজন করা হয় ভ্যানিটি ভ্যানের। এক এক জনের ভ্যানিটি ভ্যান এক এক রকম। ঢুকলে তাক লেগে যাবে।
একদিকে রয়েছে রাজনৈতিক কেরিয়ার। অন্যদিকে ছবির কাজও চলছে জয়া বচ্চনের। তাঁকে দেখা যাবে ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন রণবীর সিং ও আলিয়া ভাট। এ ছাড়াও রয়েছেন শাবানা আজমি ও ধর্মেন্দ্র। আগামী বছর এপ্রিল মাসে দেখা যাবে এই ছবি।