টম হ্যাঙ্কস অভিনীত হলিউড ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর হিন্দি সংস্করণ ‘লাল সিং চাড্ডা’ তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৫ বছর। আমির খানের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’। সারা দেশে জুড়ে ছবির শুটিং হয়েছে। কখনও সীমান্তে, কখনও কলকাতায়। স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ১১ অগস্ট মুক্তি পেয়েছে ছবি। ছবি তৈরি করতে ব্যয় বয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘লাল সিং চাড্ডা’। আমিরের অন্যান্য ছবির মতো বক্স অফিসে ম্যাজিক দেখাতে পারেনি বহু প্রতিক্ষিত এই ছবি। আশা ভঙ্গ হয়েছে। সেই সঙ্গে আশা ভঙ্গ হয়েছে আমির খানের। প্রথমদিন সর্বসাকুল্যে মাত্র ১২ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ‘লাল সিং চাড্ডা’। ছবি মুক্তির চারদিন কেটে যাওয়ার পরও ৫০ কোটি টাকাও ব্যবসা করতে পারেনি ছবি। আমির খানের অন্যান্য ছবির তুলনায় এই ছবিটির বক্স অফিস কালেকশন সবচেয়ে দুর্বল হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে। এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ‘বয়কট লাল সিং চাড্ডা’ অ্যাম্পেইন। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আমিরের মনের অবস্থা কীরকম? যাঁর ‘লগান’, ‘রং দে বসন্তী’, ‘তারে জ়ামিন পর’-এর মতো ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শককে, তাঁর ‘লাল সিং চাড্ডা’র এই দুর্দশা দেখে কী ভাবছেন আমির?
গোটা ঘটনায় খু-উ-উ-উ-বই হতাশ এবং হতবাক হয়েছেন আমির। এক সূত্র বলিউড হাঙ্গামাকে বলেছেন, “‘লাল সিং চাড্ডা’র জন্য সত্যি অনেক পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর সেরা সংস্করণ তৈরি করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। দর্শক যেভাবে তাঁর ছবিটি নাকচ করেছে, তাতে ভয়ানকভাবে মন ভেঙেছে আমিরের।”
আমিরের ভাইঝি জ়ায়ান মারি খান তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি বলেছেন, “হেট ক্যাম্পেইন তৈরি করে দয়া করে ছবিটা নষ্ট করবেন না”। আমিরের কন্যা ইরা সেই ভিডিয়ো নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন।
এর অনেক আগেই আমির জানিয়েছিলেন, ‘বয়কট লাল সিং চাড্ডা’ ক্যাম্পেইন তাঁকে মানসিকভাবে আহত করেছে। বলেছিলেন, “যাঁরা এমনটা করছেন, তাঁরা মনে করেন আমি ভারতবর্ষকে ভালবাসি না। এটা কিন্তু সত্যি নয়। ভেবে খারাপ লাগে, কিছু মানুষ এমনটা ভাবছেন। আমার ছবিটা বয়কট করবেন না প্লিজ়। প্লিজ় দয়া করে আমার ছবিটা আপনারা দেখুন।”