মনোজ বাজপেয়ী, তাঁর প্রথম ছবি ‘সত্য়া’য় গ্যাংস্টার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন রাতারাতি। কিন্তু তারপর তাঁর জীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকার। কাজ পাচ্ছিলেন না। কারণ একটাই, তাঁর পছন্দসই চরিত্রের অভাব। সবরকম চরিত্রে অভিনয় করতে একেবারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না মনোজ। ফলে কাজও পেতেন না। খুব স্বাভাবিকভাবেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছিলেন। সদ্য় সাফল্যের স্বাদ পাওয়া অভিনেতার কাছে কাজ না থাকলে যেমনটা হয় আর কী। কেরিয়ারের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না তাঁর। কাজ কেউই দিতে চাইত না। পথনাটক করে নিজের অভিনয় সত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন অভিনেতা। যদিও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছিল না, অর্থের কষ্ট থেকেই গিয়েছিল।
কেরিয়ারের শুরু নিয়ে মনোজ বাজপেয়ী বলেন, ”অনেকের মতোই একবুক স্বপ্ন নিয়ে আমি মুম্বইতে এসেছিলাম। দীর্ঘ দিন ধরে লড়াইও করেছিলাম। হতাশা ছিল, অস্বস্তি ছিল। তখনকার দিনে এবার রুটিনের মতো ছিল, তুমি তোমার ছবি জমা দেবে সহপরিচালককে, আর তিনি তোমার সামনেই তা ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবে। এই অপমান কখন যেন আশায় পরিণত হয়ে যায়। আমি স্থির করেছিলাম, খবরের কাগজে পড়া এক়টি চরিত্র আমি পাঠ করে দেখাব। পথনাটিকা থেকে যা শিখেছিলাম, তাই দিয়েই কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। এগুলোই আমার শিল্পীসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।”
প্রথম ছবি বক্সঅফিসে সাড়া ফেলার পরই বলিউডের বড়-বড় সব প্রোডিউসারদের থেকে বহুমূল্যের অফার পেতে শুরু করেন। তবে তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হননি অভিনেতা। মনোজের কথায়, “নামজাদা প্রোডিউসারদের কেউ-কেউ স্যুটকেস-ভর্তি টাকা নিয়েও আসতেন। তবে মনের মতো রোল না-পাওয়ায় তাঁদের সবাইকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম।” এই ‘ফেরানোর’ জন্য় বলিউডে অনেক শত্রু বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। যদিও বর্তমানে তিনি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন সিনেপাড়ায়।