Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Manoj Bajpayee: নায়ক বা খলনায়ক, কোনওটাই নাকি মনোজকে মানাবে না? চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন অভিনেতা

Bollywood Inside: বর্তমানে যাঁর দাপট সিনেপাড়ায় সর্বাধিক চোখে পড়ে, তাঁর জীবনে স্ট্রাগেল কম নয়। ওটিটি-তে ছকভাঙা অভিনয়ে মনোজ বাজপেয়ী সকলের নজর কেড়েছেন।

Manoj Bajpayee: নায়ক বা খলনায়ক, কোনওটাই নাকি মনোজকে মানাবে না? চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন অভিনেতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2023 | 3:15 PM

মনোজ বাজপেয়ী, বর্তমানে যাঁর দাপট সিনেপাড়ায় সর্বাধিক চোখে পড়ে, তাঁর জীবনে স্ট্রাগেল কম নয়। ওটিটি-তে ছকভাঙা অভিনয়ে মনোজ বাজপেয়ী সকলের নজর কেড়েছেন। নায়ক হোক বা খলনায়ক, সবেতেই যে তিনি সেরার সেরা, সে প্রমাণ আলাদা করে আর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদিও একের পর এক ঝড় বয়ে গিয়েছে ছোট থেকেই তাঁর ওপর দিয়ে। অধিকাংশই তাঁকে বারে বারে বুঝিয়ে দিতেন অভিনয় তাঁর জন্য নয়। এক সাক্ষাৎকারে মনোজ বাজপেয়ী জানিয়েছিলেন। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও কঠিন পরিস্থিতিতে তা যে তিনি বাস্তবে রূপান্তর করতে পারবেন, নিজেও ভাবতে পারেননি। তবে বর্তমানে সেই স্চারই দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলেছেন।

তাঁর প্রথম ছবি ‘সত্য়া’য় গ্যাংস্টার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন রাতারাতি। কিন্তু তারপর তাঁর জীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকার। কাজ পাচ্ছিলেন না। কারণ একটাই, তাঁর পছন্দসই চরিত্রের অভাব। সবরকম চরিত্রে অভিনয় করতে একেবারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না মনোজ। ফলে কাজও পেতেন না। খুব স্বাভাবিকভাবেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছিলেন। সদ্য় সাফল্যের স্বাদ পাওয়া অভিনেতার কাছে কাজ না থাকলে যেমনটা হয় আর কী। কেরিয়ারের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না তাঁর। কাজ কেউই দিতে চাইত না। পথনাটক করে নিজের অভিনয় সত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন অভিনেতা। যদিও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছিল না, অর্থের কষ্ট থেকেই গিয়েছিল।

পাশাপাশি চলেছিল চরম অপমান। তাঁকে শুনতে হয়েছিল, তিনি নাকি নায়কের মতোও দেখতে না আবার খল নায়কের মতোও দেখতে নয়, যদিও নায়ক-খলনায়ক দুই চরিত্রতেই তাক লাগিয়েছেন অভিনেতা একাধিকবার। প্রসঙ্গত, কেরিয়ারের শুরু নিয়ে মনোজ বাজপেয়ী একাধিকবার মুখ খুলেছিলেন। একবার নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা ”অনেকের মতোই একবুক স্বপ্ন নিয়ে আমি মুম্বইতে এসেছিলাম। দীর্ঘ দিন ধরে লড়াইও করেছিলাম। হতাশা ছিল, অস্বস্তি ছিল। তখনকার দিনে এবার রুটিনের মতো ছিল, তুমি তোমার ছবি জমা দেবে সহপরিচালককে, আর তিনি তোমার সামনেই তা ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবে। এই অপমান কখন যেন আশায় পরিণত হয়ে যায়। আমি স্থির করেছিলাম, খবরের কাগজে পড়া এক়টি চরিত্র আমি পাঠ করে দেখাব। পথনাটিকা থেকে যা শিখেছিলাম, তাই দিয়েই কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। এগুলোই আমার শিল্পীসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল।”