অলস বিকেলে বসার ঘরে সময় কাটাচ্ছিলেন আলিয়া ভাট। বুঝতেও পারেননি তাঁর দিকে তাক করা রয়েছে ক্যামেরা। জুম করে উঠে যাচ্ছে তাঁর একের পর এক ছবি, যখন বুঝলেন তখন ছবি উঠে গিয়েছে বেশ কয়েকটি। আর এতেই রেগে আগুন আলিয়া। মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করে উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ। আর আলিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরই সহকর্মীরা। আলিয়া লিখেছেন, “মজা হচ্ছে নাকি? আমি আমার লিভিং রুমে একটা সাধারণ বিকেলবেলা কাটাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই মনে হল কে যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ দেখি, আমার প্রতিবেশীর ছাদে উঠে দুইজন পুরুষ আমার বাড়ির দিকে ক্যামেরা তাক করে রয়েছে। এটা কি করা যায়? এভাবে কি কারও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা যায়? একটা সীমার পর আর তা লঙ্ঘন করা যায় না। আজ সব সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে।” আলিয়ার প্রতি হওয়া এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তাঁর সতীর্থ অনুষ্কা শর্মাও। আলিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে পাপারাৎজির এই কাজে বিরক্ত অনুষ্কা লেখেন, “দুই বছর আগে এই এক ঘটনা আমার সঙ্গেও ঘটেছিল। বহুবার বারণ সত্ত্বেও আমার মেয়ে ছবি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অত্যন্ত লজ্জাজনক।”
আলিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন অর্জুন কাপুরও। তিনি লেখেন, “একজন মহিলা দেখছি তাঁর নিজের বাড়িতেও নিরাপদ নন। যারা রুজির জন্য তারকাদের ছবি তোলেন তাঁদের বোঝা উচিত যা হয়েছে তা জঘন্য। তাঁরা নিজেদের কাজ করতে এসেছেন, কোনও মহিলাকে অনিরাপদ অনুভব করানোর জন্য নয়।” পোস্টে আলিয়ার মতো তিনিও মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করেছেন। আলিয়াকে নিজের মেয়ে বলে ডাকেন করণ জোহর। তাঁর এই অবস্থা পাশে দাঁড়িয়েছেন করণও। তিনি লিখেছেন, “এর কোনও ব্যাখ্যা হয় না। বিনোদন জগতের সবাই মিডিয়াকে ভালবাসি। কিন্তু সব কিছুরই তো একটা সীমা থাকে তো নাকি? নিজের বাড়িতে নিরাপদ থাকা তো সকলের জন্মগত অধিকার। তারকা-টারকা ছাড়ুন, একজন মানুষের এটা ন্যায্য।”
ঘটনায় ক্ষুব্ধ আলিয়ার দিদি শাহিন ভাট ও মা সোনি রাজদান। এভাবে কারও বাড়িতে উঁকি দিয়ে ছবি তুলে নেওয়া কতটা সুস্থ মানসিকতা? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কিছু দিন আগেই মা হয়েছেন আলিয়া ভাট। ঘরে এসেছে ছোট্ট রাহা। যদিও মেয়ের ছবি এখনই প্রকাশ করতে রাজি নন তাঁরা। যদিও পাপারাৎজির দুনিয়ায় কতদিন মেয়েকে লুকিয়ে রাখতে পারবেন এই সেলেব দম্পতি, সেই ভয়েই ভীত তাঁদের মন, জানাচ্ছে ঘনিষ্ঠ মহল।