বলিউডে (Bollywood) শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন অমিতাভ বচ্চন, দীলিপ কুমারদের সিলভার স্ক্রিনের ‘মা’ সুলোচনা লাটকর (Sulochona Latkar)। রবিবার মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় বলিউড। প্রয়াত অভিনেত্রীর উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিগ-বি সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি।
বড়পর্দায় অমিতাভের ‘মা’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন সুলোচনা। মায়ের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত ‘ছেলে’ অমিতাভ। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সুলোচনাদেবী। তাঁর পরিবারের সঙ্গে ক্রমাগত যোগযোগ রাখতেন বিগ-বি। নিয়মিত হেলথ আপডেটও নিতেন। তাঁর মৃত্যুর পর নিজের ব্লগে অমিতাভ লেখেন, “সিনেমা জগতের আরও এক মহান ব্যক্তিকে হারালাম আমরা। বেশ কিছু ছবিতে ওঁর সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বড়ই উদার ও যত্নশীল স্বভাবের ছিলেন তিনি।” প্রয়াত অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মাধুরী দিক্ষিত ও রীতেশ দেশমুখও।
১৯৪৬ সালে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ সুলোচনার, মারাঠি ওই ছবির নাম ‘সধি মানসে’ (Sadhi Manse)। মারাঠি ছবির হাত ধরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ করলেও পরবর্তীতে বলিউডই হয়ে ওঠে তাঁর মূল কর্মস্থল। একের পর এক ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। ১৯৯৯ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হন তিনি। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে দু’বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও জিতে নিয়েছিলেন। প্রায় ৩০০-র বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে অভিনয় করেছেন সুলোচনাদেবী। ‘যব প্যায়ার কিসিসে হোতা হ্যায়’, ‘দুনিয়া’, ‘আমির গরিব’-এর মতো জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাজেশ খান্নার ছবিতেও অভিনয় করেছেন। বড় পর্দায় তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল সঞ্জয় লীলা ভনশালির ‘বাজিরাও মস্তানি’ ছবিতে। এরপর আর লাইট, ক্যামেরার সামনে আসতে পারেননি তিনি। ধীরে-ধীরে বার্ধক্যজনিত শারীরিক সমস্য়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। রোগ বিছানা ছেড়ে উঠতে দেয়নি তাঁকে।
অবশেষ রবিবার পরপারের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন তিনি। আজ সোমবার, মুম্বইয়ের দাদর শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লেখেন, “সুলোচনাজির প্রয়াণে ভারতীয় সিনেমা জগতে একটা বড় শূন্যতা তৈরি হল। তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয়গুলি আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে ও প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তুলেছে। তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে আজীবন বেঁচে থাকবেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।”