একটা লম্বা জার্নি। একসঙ্গে পথ চলা। একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া নানা খুঁটিনাটি। গত বছরই সেই পথের এক পথিক চলে গিয়েছেন। ৭ জুলাই, ২০২১… মৃত্যু হয় দিলীপ কুমারের। যাকে চোখে হারাতেন তাঁকে ছাড়া গোটা একটা বছর– কেমন আছেন স্ত্রী সায়রা বানু? তিনি ভাল নেই। তাঁর মন জুড়ে শুধুই বিষাদের ছায়া। সায়রা বানুর কথায়, “এই পৃথিবী কেমন যেন অর্থহীন হয়ে পড়েছে। ফাঁকা লাগে আজকাল। এই একটি সত্যও আমি চাইনি সত্যি হোক। এমন একটা দিন নেই যেখানে মানুষের সঙ্গে দেখা হয়নি যারা তাঁকে মনে রেখেছেন।”
তিনি জানান, মা-ঠাকুমা-ভাইয়ের মৃত্যু মেনে নিলেও স্বামীর মৃত্যু কিছুতেই যেন মানতেই পারছেন না তিনি। তিনি যোগ করেন, “ঘুম থেকে উঠে যখন ফাঁকা বিছানাটা দেখি মনে হয় এখানেই তো জীবনের অর্ধেকটা কেটেছে… ইউসাফ সাবকে ৫৬ বছর পেয়েছি আমি”। আর স্বামীর ছবি দেখেন না সায়রা। যদি তাঁর কোনও কর্মচারী দিলীপ কুমারের ছবি দেখেন তবে সেই জায়গা ছেড়ে তিনি চলে যান, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
মাত্র ১২ বছর বয়সে দিলীপ কুমারের প্রেমে পড়েন সায়রা বানু। দুজনের বয়সের ফারাক ছিল বিস্তর। কিন্তু প্রেম ছিল মজবুত। স্বামীর গর্বে তিনি ছিলেন গরবিণী। সেই যাত্রাপথের অবসান ঘটে বছর খানেক আগে। এর পর খুব কমই জন সমক্ষে দেখা গিয়েছে সায়রা বানুকে। নিজেকে যেন কার্যত গুটিয়েই ফেলেছেন তিনি।
প্রায় ছয় দশকের বলিউড কেরিয়ার দিলীপ কুমারের। তাঁকে ‘ট্র্যাজেডি কিং’ আখ্যা দেওয়া হত। গোটা কেরিয়ারে প্রায় ৬৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। দেবদাস (১৯৫৫), মুঘল ই আজম (১৯৬০), গঙ্গা যমুনা (১৯৬১), ক্রান্তি (১৯৮১), কর্মা (১৯৮৬)-র মতো ছবি রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। ১৯৯৮০এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কিলা’ ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল দিলীপের অভিনয়। ১৯৯৪-এ দাদা সাহেব ফালকে এবং ২০১৫-এ পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।