Bollywood Gossips: প্রেম থেকে বিচ্ছেদ; মা নূতনের থেকে কিছুই লুকোতেন না অভিনেতা মনীষ বেহল

Nutan Birthday: মা নূতনের জন্মদিনে মনীষ বলেছেন, "১০০০ গুণ ভাল মা ছিলেন তিনি।"

Bollywood Gossips: প্রেম থেকে বিচ্ছেদ; মা নূতনের থেকে কিছুই লুকোতেন না অভিনেতা মনীষ বেহল
মা নূতনের জন্মদিনে কী বললেন পুত্র মনীষ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2022 | 10:05 AM

নাম নূতনের জন্মদিনে শৈশব ও কৈশোরে ফিরে গেলেন অভিনেতা মনীষ বেহল। কথা বলতে গিয়ে নিজেকে দক্ষিণ মুম্বইয়ের ‘বখাটে ছেলে’ বলেই পরিচয় দিয়েছেন অভিনেতা। ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে প্রয়াণ ঘটেছিল তাঁর মা ও অভিনেত্রী নূতনের। আজ (০৪.০৬.২০২২) নূতনের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে বয়স হত ৮৬ বছর। সময়ের বড্ড আগে চলে গিয়েছেন নূতন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৪ বছর। মাকে প্রতিনিয়ত মিস করেন পুত্র মনীষ। তাঁর ছেলেবেলা ও কৈশোর জুড়ে ছিলেন মা। কেবল অভিভাবক নন, নূতন ছিলেন মনীষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। যাঁকে নিজের সব কথা অকপটে বলতে পারতেন অভিনেতা। ভাল-মন্দ, প্রেম, বিচ্ছেদ, যন্ত্রণা… সব।

পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মা নূতনের জন্মদিনে মনীষ বলেছেন, “অভিনেত্রীর থেকে ১০০ গুণ বেশি ভাল মানুষ ছিলেন আমার মা। এবং ১০০০ গুণ ভাল মা ছিলেন তিনি। প্রাণে খুব দয়া ছিল তাঁর। অভিনেত্রী হিসেবে চিরকালই সমাদর পেয়েছেন। সবচেয়ে ফটোজেনিক মুখ ছিল আমার মায়ের। প্রত্যেক অ্যাঙ্গেল থেকে মাকে দেখতে সুন্দর লাগত। তবে আমার কাছে তিনি কেবলই আমার ‘মা’। সবসময়ের জন্য ‘সুন্দর’ একজন মা। আমার মনে আছে খুব ছোটবেলায় মা আমাকে সারপ্রাইজ় দেওয়ার জন্য দরজার কাছে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় একটি ছবিতে মাকে বিদেশিনীর চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছিল। ফলে তাঁকে নীল রঙের কনট্যাক্ট লেন্স ও সোনালি রঙের উইগ পরতে হয়েছিল। আমি তো চিনতেই পারিনি মাকে। কিন্তু যেই তিনি কথা বলতে শুরু করলেন, বুঝলাম, এই তো আমার মা। কেঁদে ছুট্টে গিয়েছিলাম মায়ের কাছে।”

কথা বলতে বলতে মনীষ বলেছেন, “আমাকে খুব একটা বকাঝকা করতেন না তিনি। কখনও গায়ে হাত তুলতেন না। তবে হ্যাঁ, আমার মনে আছে, ১০-১২ বছর বয়সে আমাকে একবার তিনি খুব বকুনি দিয়েছিলেন। মা কখনও কাউকে জজ করতেন না। আমি ভুল করলে, তিনি আমাকে বলতেন, ‘টিমি (ওই নামেই মা আমাকে ডাকতেন) আমি জানি তুমি কোথা থেকে ফিরছ।’ টিনএজ়ে আমার অনেক প্রেম হয়। মা সবটাই জানতেন। অনেকবার আমার মন ভেঙেছে। সেটাও মা জানতেন। তিনি বলতেন, ‘সময় এগিয়ে যায়। মানুষ ভুলেও যায়। জীবন থেমে থাকে না’।”