ছোট থেকেই পরিবারকে সেভাবে পাশে পায়নি নোরা ফাহেতি। প্রতিটা মুহূর্তে কড়া শাসনের মধ্যে বেড়ে উঠতে হয়েছে নোরাকে। ছিল না কোনও নাচের প্রশিক্ষণ। ছোট থেকেই কড়া শাসনে বড় হয়েছেন নোরা ফাহেতি। মেনে চলতে হয়েছে একাধিক নিয়ম। হিন্দি গান শুনে নাচের স্বভাব ছিল ছোট থেকেই। তবে অনুমতী ছিল না। লুকিয়ে লুকিয়ে মা কেবল সাপোর্ট করতেন নোরা ফাতেহিকে। তবে ডান্সার নয়. তিনি হতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। বলিউডে পা রেখে বুঝেছিলেন সফরটা এতোটাও সহজ নয়। নাচের প্রস্তাব পাওয়ার পর তাই গ্রহণ করেছিলেন নোরা। বলিউডে একের পর এক ভাল কাজ উপহার দিয়ে চলেছেন তিনি। নোরার কথায় ছোট থেকেই তাঁর ইচ্ছে ছিল প্রথম সারির অভিনেত্রী হওয়ার, সে ইচ্ছেপূরণ না হলেও নোরা বর্তমানে বিটাউন খ্যাত সেরার সেরা ডান্সারদের মধ্যে অন্যতম।
তাঁর একটি আইটেম ডান্স ছবির এক বাড়তি মাইলেজ হয়ে ওঠে বর্তমানে। ফলে সাম্প্রতিককালে একাধিক ছবিতে উল্লেখযোগ্য কাজ করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। আবার অন্যদিকে রিয়ালিটি শো-তেও দিন দিন বাড়ছে তাঁর কদর। বিচারকের আসনে মাঝেমধ্যেই দেখা মিলছে নোরা ফাতেহির। তবে এটা ছিল সবেমাত্র শুরু।
কেই বা জানত ফুটবল বিশ্বকাপের মাঝে ময়দানে গিয়ে ভারতকে গর্বিত করবেন এই সেলেব! কাতারে বিশ্বকাপ ২০২২-র সন্ধ্যা তাই জমিয়ে দিলেন নোরা। ২০২২ সালের ফুটবল ওয়ার্ল্ডকাপ থিম সং তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। গান মুক্তি পাওয়া মাত্রই সকলের নজর কেড়েছিলেন নোরা ফাতেহি। কেবল দেশ নয়, গোটা বিশ্বের নজরের কেন্দ্রে সেদিন থেকেই নোরা। এরপর শুরু হয় বিশ্বকাপ সফর। স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে প্রথম নিজের গান শোনা থেকে শুরু করে ফিফা ফ্যান ক্লাবের হয়ে পারফর্ম করা সবটাই, ছিল তাঁর স্বপ্নের মতো। একটা সময় যে বলিউড তাঁকে কাজের সুযোগ দেয়নি, একটা ছোট চরিত্র দেয়নি, সেই বলিউডের গর্ব আজ নোরা ফাহেতি। জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা।