‘লা সোলদাদ’। স্প্যানিশ শব্দ। বাংলায় যার অর্থ একাকীত্ব। লা সোলদাদ আসলে একটি স্প্যানিশ গান। ছোট থেকেই যে গানটি শুনতে পছন্দ করতেন মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন। সেই বয়ঃসন্ধির সময় থেকে। সম্প্রতি ছোট মেয়ে আলিশার সঙ্গে গাড়ি করে যেতে যেতে গানের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছিলেন সুস্মিতা। আলিশা এখন বয়ঃসন্ধিতে পা দিয়েছে। সেও মায়ের মতো গানটি শুনে বড় হচ্ছে। ভিডিয়ো রেকর্ড করে সুস্মিতা শেয়ার করেছেন তাঁর ইনস্টাগ্রামে। ক্যাপশনে লিখেছেন, “লা সোলদাদ… একটি স্প্যানিশ গান। ছোট থেকেই এই গানটি শুনে আমি বড় হয়েছি। আমার টিনএজ়ার এখন এই গান শুনছে। এভাবেই বোধহয় জীবনের বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়। জীবনের প্রতি পদে সাহসের সঙ্গে লড়াই কোরো আলিশা সোনা। এই স্মৃতি যেন সারাজীবন সঙ্গে থাকে তোমার।”
সমাজের চেনা ছকে না হাঁটা এক মানুষ সুস্মিতা। সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু বিয়ে করেননি। ১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার পর ঘোষণা করেছিলেন তিনি দত্তক নিতে চান। সেই ইচ্ছা অনুযায়ী, বড় মেয়ে রেনেকে দত্তক নিয়েছিলেন। তার কিছু বছর পর দত্তক নেন আলিশাকে। দুই কন্যাকে নিয়েই জীবন চলছে তাঁর। তাঁদের বেড়ে ওঠার পাশাপাশি নিজেও বড় হয়েছেন।
কিছুদিন আগেই প্রেমিক রহমান শলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন সুস্মিতা। গত বছরের গোড়ার দিকেই তাঁদের গুঞ্জনের খবর রটেছে। বছর শেষে খবর আসে সত্যি সত্যি তাঁদের সম্পর্ক ভেঙেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে খবরটি জানিয়েছিলেন সুস্মিতাই। বলেছিলেন, “বন্ধু হিসেবে শুরু করেছিলাম। এখনও বন্ধু রয়েছি। সম্পর্ক বহুদিন আগেই শেষ হয়েছে। কিন্তু ভালবাসা রয়ে গিয়েছে। আর জল্পনা নয়। তোমাদের ভালবাসি।”
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে একসঙ্গে ছিলেন সুস্মিতা ও রহমান। রহমান মডেল ও সুস্মিতার তুলনায় কম প্রতিষ্ঠিত। ইনস্টাগ্রামে সুস্মিতাকে মেসেজ করেছিলেন রহমানই। ভুলবশত তাঁর বন্ধুত্ব গ্রহণ করে ফেলেন সুস্মিতা। এর পর থেকেই শুরু হয় কথাবার্তা। সেখান থেকে কফি ডেট, প্রেম। সুস্মিতার দুই মেয়ের সঙ্গেও রহমানের সম্পর্ক বেশ ভালই। ইনস্টাগ্রামেও তাঁদের একসঙ্গে বহু পোস্ট। যে মুহূর্তে সুস্মিতা ভক্তরা তাঁদের বিয়ের ঘোষণা শোনার জন্য আগ্রহী, ঠিক সেই মুহূর্তেই এমন এক খবরে মন খারাপ তাঁদের।