তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে আজও। কথা হচ্ছে কিরণ রাও ও আমির খানে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণের সঙ্গে তিনি সাত পাকে বাঁধা পড়েন ২০০৫ সালে। হেভিওয়েট বিয়ে। রাখতে হবে লুকিয়ে। আর এই লুকিয়ে রাখার চক্করেই কী কান্ড ঘটিয়েছিলেন আমির শুনলে রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন। প্রায় ১৬ বছর পর আমির খানের এই কীর্তি ফাঁস করেছেন পরিচালক কুনাল কোহলি, যিনি আমির ও কাজল অভিনীত ‘ফানহা’ ছবির পরিচালক।
পরিচালক জানান, ২০০৫ সালের শুরুতেই বিয়ের পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন আমির ও কিরণ। কিন্তু এ বিষয়ে কাউকে জানাতে তাঁরা চাননি। কিন্তু সে সময় ‘ফানহা’ ছবিরও শুট চলছে। বিয়ে আর শুটিং শিডিউল একদিনেই পড়ে যাচ্ছিল। কুনালের কথায়, “হঠাৎই আমির এসে আমায় জুন মাস নাগাদ বলে ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে পরের বছর জানুয়ারির ৩ অবধি তাঁর ছুটি চাই। আমায় বলে কিরণকে বিয়ে করছে ও। আমি শুভেচ্ছা জানাতেই আমায় সাবধান করে কাকপক্ষীও যাতে টের না পায়। কিন্তু প্রযোজক আদিত্য চোপড়াকে জানাতে হবে?” কুনাল জানান, প্রযোজককে জানাতেও কড়া নিষেধ ছিল আমিরের। তাঁর ভয় ছিল, আদিত্যকে বললেই ব্যাপারটা পাঁচকান হয়ে যেতে পারে যা সেই মুহূর্তে কোনও মোটেই চাইছিলেন না আমির। যখন আদিত্যকে শুটিংয়ের চার্ট দেওয়া হয় তখন ১০ দিনের ফাঁক দেখে আদিত্য পরিচালককে কারণ জিজ্ঞাসা করেন। জিজ্ঞাসা করেন আমির অথবা কাজল বা পরিচালক ওই সময় ঘুরতে যাচ্ছেন কিনা। কিন্তু হায়! আমিরকে কথা দেওয়ার ফলে আদিত্যকেও কিচ্ছুটি জানাতে পারেননি কুনাল। একসময় বিরক্ত হয়ে আদিত্য চোপড়া নির্দেশ দেন ওই দশ দিন হবে শুটিং। ওদিকে আমির পড়ে যান ফ্যাসাদে।
শেষমেশ ওই বছরই নভেম্বর নাগাদ বিয়ের কথা সবাইকে জানান আমির নিজেই। জানতে পারেন আদিত্য নিজেও। পরিচালককে তিনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, “তুই আমায় বললি না কেন”? পরিচালকও বাধ্য হয়ে জানান মাস্টারমাইন্ড আমির। তাঁর জন্যই লুকিয়ে রাখতে হয়েছিল কুনালকেও। বিয়ের ১৫ বছর পর গত বছর জুলাই মাসে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন আমির খান ও কিরণ রাও। জানান, বিচ্ছেদ হলেও বন্ধু থাকবেন তাঁরা। একই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন ছেলে আজাদেরও।