বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। কিন্তু তিনি যে প্রথম থেকে এমন ছিলেন, তা কিন্তু নয়। বরং উল্টোটা। তিনি খুবই আনপ্রফেশনাল ছিলেন। ফিরে যাওয়া যাক ১৯৯২ সালে। একটি ছবিতে তিনি অভিনয় করছেন যেখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিলেন প্রাণ। আমির তাঁর নাতির ভুমিকায়। আমিরের বিপরীতে অভিনয় করছিলেন ফারহা। ছবির নাম ‘ইসি কা নাম জিন্দেগী’। কী করেছিলেন আমির? তাঁর কারণে এই ছবি ৪ বছর সময় লেগেছিল তৈরি হতে। তিনি ছবির নায়িকা ফরহাকে বডি শেমিং পর্যন্তও করেন। জানিয়েছিলেন, ফারহার ওজন বেড়েছে, তাঁর সঙ্গে মানাচ্ছে না। ফারহার উপর এই রাগের কারণ নায়িকা তাঁর বিরুদ্ধে পরিচালকের কাছে অভিযোগ করেন।
কিন্তু কেন এমন করে সিনেমাটি ঝুলিয়েছিলেন আমির? ছবির শুটিং যখন প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে, আমির জানতে পারেন একটি অস্কারজয়ী ফ্রেঞ্চ ছবির গল্প থেকে নেওয়া এটি। শুধু তাই নয়, তিনি এও জানতে পারেন যে বাংলা নাটক ‘সাজানো বাগান’-এর থেকে হুবহু টোকা। মনোজ মিত্র পরিচালিত, অভিনীত বহুল জনপ্রিয় নাটক এটি। সত্যিটা জানতে পেরে আমির বিরক্ত হন। এমনকী ছবিটির কাহিনি আসল ফরাসি সিনেমার কাছাকাছি কোথাও ছিল না। সব মিলিয়ে তিনি শুটিংয়ের তারিখ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তিনি চলচ্চিত্রটি বিলম্বিত করতেন এবং ছবিটির শুটিং না করার অজুহাত খুঁজে বেড়াতেন। আর এই কারণেই স্বভাবতই আমিরের সহ অভিনেতা ফারহা এবং প্রাণকে সেটে তাঁর জন্য সীমাহীন অপেক্ষা করতে হত। অবশেষে ফারহা যথেষ্ট ধৈর্যের পর আমিরের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি তাঁকে জানিয়েছিলেন যে তাঁর এবং ইউনিটের সময় নষ্ট যেন না করেন আমির। পাশাপাশি পরিচালককে বলেছিলেন তিনি যেন আমিরের কথা বলেন, যদি তিনি এটির জন্য শুটিং করতে না চান, তাহলে যেন ছেড়ে দেয় ছবি। আর এতে গোঁসা হয় আমিরের। তিনি প্রতিশোধ নিতে ফারহা বডি শেমিং করেন। বহু বছর পর আইএমডিবির সৌজন্যে এই তথ্য সামনে আসে।
আমিরের এই হেন কাজ নিয়ে নেটিজ়েনরাও নানা মন্তব্য করেন। কেউ বলেন খুব খারাপ সিনেমা। আমিরকে খুব বাচ্চা লাগছিল। ফরহাকে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে ছবিতে। আর একজনের মত, আমির বেশ আনপ্রফেশনাল। এইভাবে ফারহাকে শরীর নিয়ে লজ্জা দেন। কেন তাঁকে বেছে নিলেন তিনি, যখন ফারহা শুধু বিষয়টি সামনে তুলে ধরেছিলেন। আর যখন তাঁর সমস্যাটি সিনেমার সঙ্গে ছিল এবং তাঁর কস্টার নয়??