আর দিন দুয়েক পরেই অস্কার। আর এই অস্কারেই শ্রেষ্ঠ অরিজিনাল সং– এই বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে দক্ষিণী সুপারস্টার রামচরণ ও জুনিয়র এনটিআরের ছবি ‘আরআরআর’। আর এই নিয়েই বেজায় ব্যস্ত রামচরণ। চলছে প্রচারের কাজ। এরই মধ্যে ওই মঞ্চে নাকি ‘নাট্টু নাট্টু’ গানের এক স্পেশ্যাল পারফরম্যান্সও দেবেন দুজনে। তবে এরই মধ্যে রামচরণ যা করলেন তা মুগ্ধ সকলেই। অস্কার প্রতি বছরই হয়, কিনতি প্রথম বাবা হওয়ার অনুভূতি তো পাওয়া যায় একবারই– এই কথাকেই মনের মধ্যে গেঁথে নিয়ে রামচরণ মেতে উঠলেন স্ত্রী বেবিমুন পালনে। পেশাগত জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্ত্রী উপাসনার সঙ্গে রাম বেরিয়ে পড়লেন অজানা উদ্দেশে। স্ত্রীর ইচ্ছে ছিল ডলফিন দেখবেন, সে আশাও পূর্ণ করলেন রামচরণ। বিয়ের দশ বছর কেটে গেলেও দুজনের রোম্যান্স যে কমেনি এতটুকুও, তাই বোধহয় প্রমাণ করে দিল উপাসনার শেয়ার করা এক ছোট্ট ক্লিপিংস। গত ডিসেম্বরেই সন্তান আসার খবর দেন রাম ও উপাসনা। সদস্য আগমন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এই মুহূর্তে অভিনেতার বৃহস্পতি তুঙ্গে। পেশাগত ও ব্যক্তিগত এই দুই জীবনেই এখন শুধুই আনন্দ। আর তিনি দক্ষিণী ছবির তারকা নন। গোটা ভারত তাঁকে ভালবাসে। আর রামচরণ চান আবার বাংলা ছবিতে কাজ করতে। কিছু দিন আগেই জানিয়েছিলেন মনের ইচ্ছে। বলেছিলেন, “আমি চাই গুজরাতি ছবিতে কাজ করতে। চাই বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও কাজ করতে। আমি বাংলা ছবি খুব ভালবাসি। আশা করছি ওখান থেকে আমায় কেউ ছবিতে নিক। এমন একটা ইন্ডাস্ট্রির অংশ হতে চাই যেখানে সীমার কোনও বেড়া নেই।”
নিজেকে শুধুমাত্র দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার বলে মানতে নারাজ তিনি। তাঁর কাছে ছবি বেড়াজালের ঊর্ধ্বে। আঞ্চলিক ছবি নয়, বরং সব আঞ্চলিক ছবিই আদপে ভারতীয় ছবি– এমনটাই বিশ্বাস করেন তিনি। আপাতত লক্ষ্য অস্কার। তাবড় গানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অস্কার কি পাবে ‘আরআরআর’? জানা যাবে আর দু’দিন পরেই।