প্রীতম দে: চলতে ফিরতে কষ্ট। শরীর বেল্ট দিয়ে বেঁধে সোজা রাখতে হয়। চলতে হয় দুটো ক্রাচের সাহায্যে । তবু চলা থেমে নেই । চরৈবেতি… চরৈবেতি… ক্রাচ নিয়েই অন্যদের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছেন বন্ধুর হাত। ইটভাটার ছেলেমেয়েদের কাছে যাচ্ছেন তাদের পেটপুরে খাওয়াতে।
নদীয়ার একটি ইটভাটার শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া আর ইয়াসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ২৪ পরগণায় ২৫০ জনকে জামা,কাপড় ও শুকনো খাবার দিয়ে সাহায্য করা। একা করা সম্ভব নয়।পিয়ালী নস্করের মত আরও বন্ধুরা এগিয়ে এলেন অমিতাভের সঙ্গে। তুমি এইভাবে পারলে আমরা বসে থাকি কী করে। এলেন আরও ১৫ জন ।বললেন, বন্ধু চল। রথযাত্রায় মধ্যমগ্রাম সংলগ্ন “গৌরাঙ্গ গৌরীয় এক মহিলা অনাথ আশ্রমে, ৬০জন ছোট-বড় মেয়ের জন্য খাদ্য সামগ্রী, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে ওই আশ্রমের ছোট-বড় সকলের মুখে হাসি ফোটাতে এবং তাদের সঙ্গে ওই বিশেষ দিনটাতে একটু সময় কাটাতে,মধ্যাহ্নভোজের মেনু ছিল বেশ বড় ভাত। ছোলাকচুশাক, মোচারঘন্ট, বিভিন্ন ভাজা, লাউডাল, পটলপোস্ত, পনিরের তরকারি, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি, মালপোয়া। সবার দুঃখ বা দুর্দশা হয়তো একসঙ্গে দূর করা যাবেনা…
আরও পড়ুন-গুরু পূর্ণিমা নিয়ে রয়েছে কিছু পৌরাণিক কাহিনি, যা অনেকেরই অজানা
কেন করেন এসব?
দেখুন একসঙ্গে সবার ভালো তো আমরা হয়তো করতে পারবো না,তবে এর মধ্যে যতজন পিছিয়ে পরা বা এমন মানুষের পাশে দাড়াতে পারি সেই চেষ্টা করি,আসলে যে কোন কাজে মানসিকতা আর মনের স্বদিচ্ছাটাই বড়।
ভয় নেই করোনায় ?
“সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করে চললেই আশা করি তেমন কিছু হবেনা,আর যদি ভয়ের কথা বলেন তাহলে তো কোন কাজই করা যাবেনা,আর বাড়িতে বসে থাকলেও যে সেখানেও বিপদ আসবেনা তার কোন গ্যারান্টি আছে? ” সাফ উত্তর অমিতাভের।
জন্মগত নয়। ছোটবেলায় দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব। লড়াই করতে জানেন…।