প্রীতম দে: পার্লারের জন্য পুজোই সরে যাবে। মানব পুজোই সবার ওপরে । তৃতীয় ঢেউ শিয়রে । এদিকে পুজো হোক রব উঠেছে। পাড়ায় পাড়ায় অক্সিজেন পার্লার কমছে সরছে। প্যান্ডেলের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। ঠিক তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে বেহালার সম্মিলনী ক্লাব ভাবছে পুজো তো আছেই কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচানোই প্রথম কর্তব্য।
“গোটা কলকাতায় চালু অক্সিজেন পার্লার কমতে কমতে এখন মাত্র চারটেতে এসে ঠেকেছে। দক্ষিণ কলকাতায় একটাও আর নেই। এমতাবস্থায় আমাদের মনে হল তৃতীয় ঢেউ যদি আসে আমরা কি তৈরি? না। তাই আমাদের এই সিদ্ধান্ত” বললেন পার্লারের দায়িত্বে থাকা অনীশ দাশগুপ্ত ।
পুজোবেদীটাই অক্সিজেন পার্লার করা হয়েছে। প্রতিমার জায়গায় এখন বেড আর অক্সিজেন সিলিন্ডার। ঘট পুজো করা হবে। নয়তো মাঠের এককোণে ছোট করে পুজো হবে। কিন্তু পার্লার যেখানে সেখানেই থাকবে, জানালেন ক্লাবের কর্মকর্তা সুভাষ গায়েন।
বেহালা সম্মিলনী অরবিন্দ পল্লি পূজা কমিটির এ বার সত্তর বছর। অক্সিজেন পার্লার শুরু হয়েছে মে মাসে। ঠাকুর দালান শুধু নয় তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে ক্লাবের জিমও। ২৪ ঘন্টা চিকিৎসক, এক নার্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার, কনসেন্ট্রেটর, স্যালাইন। তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য আই সি এম আরের দেওয়া নির্দেশ মেনে এখনই প্রস্তুত হচ্ছে বেহালার সম্মিলনী ক্লাব পুজোর সময়ের জন্য।