আবারও ট্রোলের মুখে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। এবার কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরে মেয়ে আরাধ্যার সঙ্গে তাঁর ব্যবহার একেবারেই ভাল ভাবে নিল না নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। তাঁদের একটাই বক্তব্য, “দয়া করে এবার বন্ধ করুন”। কী এমন করেছেন ঐশ্বর্যা যে রাতারাতি ক্ষেপে উঠল জনতা?
ছোট থেকেই মেয়েকে নিজের থেকে একটুও আলাদা করেননি ঐশ্বর্যা। নয় নয় করতে করতে সে এখন ১১ ছুঁইছুঁই। বিমানবন্দরে বের হওয়ার মুখে দেখা যায়, মেয়ের হাত শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছেন বচ্চন-ঘরণী। আর এতেই আপত্তি নেটপাড়ার একটা বড় অংশের। কার্যত বিরক্ত তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ছোট থেকে যেভাবে মা মেয়েকে নিজের ঘেরাটোপে ‘বন্দি’ করে রেখেছেন তাতে আরাধ্যার মানসিক বিকাশ হওয়া অসম্ভব। তাঁদের আরও বক্তব্য, মেয়ে যেহেতু বড় হচ্ছে তাই নিজের খেয়াল রাখার দায়িত্ব নিজেকে না দিলে পরবর্তীতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অসুবিধা হতে পারে আরাধ্যার। কেউ কেউ আবার আঙুল তুলেছেন ঐশ্বর্যার ‘নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা’র দিকেও। যদিও পাল্টা যুক্তিও দিয়েছেন কেউ কেউ। তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয় সংস্কৃতি পশ্চিমা দেশগুলির মতো নয়। একটা নির্দিষ্ট বয়স অবধি বাবা-মা তাঁর সন্তানের খেয়াল রাখবেন, তাঁকে আগলে রাখবেন তাই তো স্বাভাবিক। তাই এ নিয়ে ট্রোলিং মানতে চাননি তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবে এক শ্যাম্পুর ব্র্যান্ডের মুখ হয়ে হাজির হয়েছিলেন ঐশ্বর্যা। বহু বছর ধরেই কানে অংশ নিয়েছেন তিনি। কখনও কানে পরিহিত তাঁর পোশাক হয়েছে প্রশংসিত আবার কখনও পোশাক পছন্দ হয়নি নেটিজেনদের। তবে এই প্রথম তাঁর বয়স নিয়ে তীব্র কটাক্ষ চলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ তকমা দিয়েছেন ‘বুড়ি’ আবার কেউ বা বলেছেন ‘মোটি’। কেউ আবার দাবি করেছেন, অভিনেত্রী নাকি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে নিজের যৌবন ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। যদিও বচ্চন পরিবারের তরফে বরাবরের মতো এবারেও এই সব ট্রোলিংয়ের পাল্টা কোনও মন্তব্য করা হয়নি।