শ্রুতি নন্দনে এবার ২৫ বছরের সরস্বতী পুজো। কালই মা’কে পুজো করা হয়েছে মহা সমারোহের। আজ তাঁর বিসর্জনের দিনের। সকাল থেকেই মনটা কেমন খারাপ হয়ে ছিল। এত রোদ ঝলমনে দিন… অথচ। লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থা যে সঙ্কটজনক তা গতকালই শুনেছিলাম। তাই ভাল লাগছিল না কিছুই। মনে পড়ছিল ওঁর কথা। বাড়িতেও বললাম। আর ঠিক এক ঘণ্টা পরেই এল সেই মৃত্যুসংবাদ। বিশ্বসঙ্গীত জগতের সম্পদ লতা মঙ্গেশকর নেই। একটা প্রশ্ন ভাবাচ্ছে, দেবী বিসর্জনের দিনেই কেন চলে গেলেন সঙ্গীতের সরস্বতী?
ভারতীয় সঙ্গীতের চর্চা চার-পাঁচ হাজারের পুরনো। সামবেদ থেকে শুরু হয়েছে সঙ্গীতের সূত্রপাত। বহু শিল্পী এসেছেন। তবে সেখান থেকে আজ পর্যন্ত সর্বকালের সর্বযুগের যত শিল্পী জন্মেছেন আজকে তাঁদের সবার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ লতা মঙ্গেশকর। গানের কেরিয়ার ৫০ বছরেরও বেশি। অথচ প্রতিটি গান গেয়ে গিয়েছেন একই ভাবে। সর্বকালের সর্বযুগের যত শিল্পী জন্মেছেন আজকে তাঁদের সবার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ লতা মঙ্গেশকর। কোনও দেশের কোনও শিল্পী লাগাতার ৫০ বছর ধরে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে রয়েছেন এমন কিন্তু দেখা যাবে না। ক্ষতি? হ্যাঁ ক্ষতি। বিরাট বড় ক্ষতি।
এত কথা…এত স্মৃতি… এত দেখা… এত শেখা এ সবেরই অবসান হল আজ। আমাকে বরাবর অজয় দা বলে ডেকেছেন। আজ সব কিছু ছেড়ে তিনি চলে গেলেন। কিন্তু আত্মা অবিনশ্বর। ঠিক যেমন অবিনশ্বর তাঁর কৃষ্টি-কাজ-শিল্প। দেহ ছেড়ে চলে গেলেও তিনি রয়ে গেলেন। কারণ, লতা মঙ্গেশকরদের যে মৃত্যু হয় না। বিসর্জন হয় ঠিকই, তবু তাঁরা থাকেন, থেকে যান। তিনি যে জীবন্ত সরস্বতী।
আরও পড়ুন- হাতে থাকত এক অদৃশ্য বীণা, তিনি লতা মঙ্গেশকর, বাগদেবীর মানবী রূপ