১৩ বছরে পা দিয়েছে আরাধ্যা বচ্চন। ভারতের প্রথম বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের একমাত্র কন্যা সে। তার জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনওরকম শুভেচ্ছাবার্তাই পাঠাননি ঠাকুরদা অমিতাভ। বিষয়টা নজরে এসেছেন নেটিজ়েনদের। এবং তারপর থেকেই ঐশ্বর্যর সঙ্গে বচ্চন পরিবারের তিক্ততা নিয়ে সমালোচনা জোরালো হয়েছে। তা হলে কি তিক্ততা এ পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে আরাধ্যার জন্মদিনেও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন না অমিতাভ। নাকি কারণ অন্য কিছু।
যদিও কন্যা আরাধ্যাকে তাঁর ১৩ বছরের জন্মদিনে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ঐশ্বর্য এবং অভিষেক। দু’জনেই নিজনিজ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্ট করেছেন আরাধ্যার ছবি। অভিষেক লিখেছেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি তিনি ভালবাসেন কন্যা আরাধ্যাকেই। একইভাবে ঐশ্বর্য লিখেছেন, আরাধ্যার জন্যই বেঁচে আছেন তিনি।
বচ্চন পরিবারের আর কেউ আরাধ্যাকে শুভেচ্ছা জানাননি সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাই নিন্দুকেরা মনে করছেন, ঐশ্বর্যর সঙ্গে বচ্চন পরিবারের তিক্ততাই আসল কারণ। কেউ-কেউ যদিও মনে করছেন, হয়তো ব্যক্তিগতভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অমিতাভ। প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। কিন্তু এটা অমিতাভ জন্য অস্বাভাবিক বিষয়। কেননা, তিনি টেকস্য়াভি। তিন-চারটে ফোন এবং ট্যাবও আছে তাঁর সংগ্রহে। এর জন্য সহকারীও নিযুক্ত করে রেখেছেন অমিতাভ। তাই নাতনিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা না জানানো একপ্রকার আলোচনার উদ্রেক ঘটিয়েছে।
১ নভেম্বর ছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্মদিন। এদিন পঞ্চাশে পা দিয়েছেন বিশ্ব সুন্দরী এবং বচ্চন পরিবারের বধূ। তাঁর ৫০তম জন্মদিনে কেউই শুভেচ্ছা জানাননি তাঁকে। নমোনমো করে একটি সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে অভিষেক কেবলই ‘হ্যাপি বার্থডে’ জানিয়েছিলেন ঐশ্বর্যকে। কিন্তু আর কেউই তাঁকে উইশ করেননি। জলসায় বসেনি কোনও ধরনের জলসা।
কয়েকদিন আগে প্যারিসের একটি নামকরা ফ্যাশন শোতে হাজির ছিল বচ্চন পরিবারের নারীরা। সেখানে ঐশ্বর্যও গিয়েছিলেন। কিন্তু ছবি পোস্ট করার সময় শাশুড়ি জয়া, ননদ শ্বেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া একটি ছবিতেও ট্যাগ করেননি ঐশ্বর্যকে। অমিতাভের জন্মদিনে জয়া এবং শ্বেতাকে ছবি থেকে ক্রপ করে কেবল আরাধ্য়া এবং অমিতাভের ছবি পোস্ট করে শ্বশুরমশাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ঐশ্বর্য।