বুধবার ভোরে উত্তর সিকিমের পাহাড়ি হ্রদ লোনক ফেটে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা। তিস্তার জলস্তর বেড়ে গিয়ে এই মুহূর্তে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে সেতু, সড়ক হয়ে পড়েছে নিশ্চিহ্ন। বহু মানুষ হয়েছেন নিখোঁজ, মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু জনের। গায়ক অন্তরা নন্দীও সিকিমের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন কাজে। সেখানে গিয়ে প্রকৃতির রুদ্ররোষে পড়তে হয়েছে তাঁকেও। তিনি সুস্থ আছেন কিনা, নিরাপদে আছেন কিনা এ নিয়ে যখন ভক্তমনে বাড়ে দুশ্চিন্তা তখন অন্তরার এক ‘অসংবেদনশীল’ পোস্ট ঘিরে ভক্তমনে বেড়েছে রোষ। ইনস্টায় ভাইরাল হওয়া নেপালি গান ‘বাদল বরষা বিজুলি’র সঙ্গে নাচের রিল শেয়ার করে অন্তরা লিখেছেন, “এমন নেচেছি যে মেঘই ভেঙে পড়ে গিয়েছে। এমন ট্যালেন্ট দেখেছেন”? ভক্তদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, ” অন্তরা নিরাপদেআছেন, কিন্তু এই মুহূর্তে যে মানুষগুলো প্রিয়জন হারিয়েছেন। হারিয়েছেন ঘরবাড়ি তাঁদের কথা কি একবারও মনে পড়ল না তাঁর? কী করে এমন অবিবেচকের পোস্ট করতে পারেন তিনি?”
সে যাই হোক অন্তরা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে নিরাপদেই আছেন তিনি। তবে দুর্যোগের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল তাঁকেও। বাগডোগরা থেকে তাঁদের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল। কিন্তু হোটেলে ঘুম থেকে উঠেই তাঁরা জানতে পারেন, ঠিক কী ঘটে গিয়েছে গোটা সিকিম জুড়ে। অন্তরার কথায়, “লাইট ছিল না। ফোনের নেটওয়ার্কও ছিল না। জানি না, আমাদের খুশি হওয়া উচিৎ নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল বলে। নাকি দুঃখ পাওয়া উচিৎ ফ্লাইট মিস হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে বলে।”
তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। অন্তরা জানিয়েছেন সুস্থ ভাবে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। এক পোস্টে তিনি আবার লেখেন, “যারা যারা এই মুহূর্তে আমার খোঁজ করছেন তাঁদের সবাইকে জানিয়ে রাখি, আমি নিরাপদে আছি। মেঘ ফেটে যাওয়ায় তাঁরা অসুবিধের মধ্যে পড়েছেন তাঁদের জন্য আমার সমবেদনা রইল। আশা করছি, যা সাহায্য দরকার তা খুব তাড়াতাড়ি সকলে পেয়ে যাবেন।” প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে সিকিমের অবস্থা বেশ খারাপ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা এবং সিকিম সরকার।