কেকে’কে নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা লক্ষ্য করে করেছিলেন এমন কিছু মন্তব্য যা ভালভাবে নেননি কেকে’র ভক্তরা। এর পরেই কেকে’র মৃত্যু। ঘটনাপ্রবাহে নেটিজেনদের চোখে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় হতে হয় রূপঙ্করকে। ট্রোলিং তো বটেই আসতে থাকে খুনের হুমকিও। রূপঙ্কের এই বক্তব্যের যেমন বিরোধিতা করেন ইমন চক্রবর্তী সোমলতা আচার্যসহ অন্যান্য ঠিক তেমনি পাশে দাঁড়িয়েছিলেন নচিকেতা। এবার গায়কের পাশে দাঁড়ালেন বাংলার নাট্য ব্যক্তিত্ব তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অর্পিতা ঘোষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুরঘাট কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে অর্পিতা বলেন, “রূপঙ্কর বাগচিকে গালাগালি করা শোভনীয় নয়। যারা এটা করছে তাদের রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।” এখানেই না থেকে অর্পিতা যোগ করেন, “রূপঙ্কর নিজের কথা বলেছে। আমার যাকে ভাল লাগে, তাকে আপনার ভাল নাও লাগতে পারে। রূপঙ্করও নিজের জায়গায় সুপ্রতিষ্ঠিত, ভাল গায়ক। কেকেও ভাল গায়ক। আজকে কেকে মারা গেছে বলে রূপঙ্কর বাগচিকে গালাগাল, হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এটা শোভনীয় নয়। যারা এটা করছে তাদের শিল্প বোধ নেই। যাদের রুচি বোধ নেই তারাই হুমকি দিচ্ছে। রূপঙ্করের দুর্ভাগ্য যে কেকের মৃত্যুর আগের দিন এই কথাগুলো বলেছিলেন। চার মাস আগে বললেও মানুষ হয়তো মনে করতে পারত না।” একই সঙ্গে তিনি মনে করছেন, একজনকে মহান করতে গিয়ে আর এক জনকে ছোট করে রুচিহীনতার পরিচয় দিচ্ছে নেটিজেন।
একদিকে অর্পিতা যেমন পাশে দাঁড়িয়েছেন রূপঙ্করের অন্যদিকে এ দিন কেকে’র মৃত্যু নিয়ে এ দিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মারাত্মক অভিযোগ, ‘কেকে’কে খুন করা হয়েছে’। এ নিয়েও সমালোচনা করেছেন অর্পিতা ঘোষ। তিনি বলেন, “দিলীপবাবু তো কদিন আগেই চিঠি পেলেন, বাজে বকবেন না বলে। সব বিষয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা, নিম্নরুচির পরিচয়। আসলে স্বভাব যায়না ম’লে, কয়লার দাগ যায়না ধুলে। ঠিক এমন অবস্থা দিলীপবাবুর। আরে বাবা, আগে তদন্ত হোক, কেকের পরিবার কী বলছে শোনা হোক। তা নয়, আগেই এসব মন্তব্য।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠান সেরে হোটেলে ফিরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বলিউড সঙ্গীতশিল্পী কেকে। তাঁর মৃত্যুতে উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। তার মধ্যে সব চেয়ে বড় প্রশ্ন, কেন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না শিল্পীকে? অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের অদূরদর্শিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সঠিক উত্তর মেলেনি।